siliguri

কেন্দ্র-বঞ্চনায় ধাক্কা চা শিল্পে, দাবি মালিকদের

বাগান মালিকদের দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনা, টি বোর্ডের উদসীনতায় বন্ধ বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, বিজেপির সাংসদদের কাছে এই নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। এরপরেও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। এই কারণে এ বার আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে ওই সংগঠনটি।     

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৩২
Share:

ফাইল চিত্র

বাজার খারাপ থাকায় উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে ধাক্কা লাগার অভিযোগ আগেই তুলেছেন বাগান মালিকেরা। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেন চা বাগান মালিকদের একটি অংশ। তরাই ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (টিপা) শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করে। বাগান মালিকদের দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনা, টি বোর্ডের উদসীনতায় বন্ধ বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, বিজেপির সাংসদদের কাছে এই নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। এরপরেও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। এই কারণে এ বার আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে ওই সংগঠনটি।

Advertisement

টিপার সভাপতি মহেন্দ্র বনসল এ দিন বলেন, ‘‘অসম মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশের অংশীদার। অথচ, বাগানের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রায় ৮০ শতাংশ সেখানে যাচ্ছে। অথচ উত্তরবঙ্গে একের পর এক চা বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে কেন্দ্রীয় অনুদান বাকি ২৫০ কোটি টাকা।’’ চা বাগানের ব্রিটিশ আমলের পুরনো গাছ তুলে নতুন বাগান তৈরির জন্য কিছু কেন্দ্রীয় অনুদান পান বাগান মালিকরা। তা ২০১৫ সাল থেকে বকেয়া রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। বাগান মালিকদের অভিযোগ, দার্জিলিং, তরাই, ডুয়ার্স মিলিয়ে একাধিক বাগানে উৎপাদনের তুলনায় রফতানি কমছে। এই নিয়ে একটি সামগ্রিক সমীক্ষার দাবি জানালেও টি বোর্ড কিছু করছে না বলে মালিকদের দাবি। কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে শিলিগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রে একটি আলোচনায় ডাকা হয়েছিল বাগান মালিকদের। সেখানে উপস্থিত আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা এবং জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়কে সব জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেট দেখে হতাশ বাগান মালিকরা।

সম্প্রতি রাজ্যের বাজেটে চা বাগানগুলির উপর থেকে কৃষি কর মকুব করেছে রাজ্য। এছাড়াও বাগানে অব্যবহৃত জমি পর্যটনে ব্যবহার করা এবং চা সুন্দরী প্রকল্প ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাগান মালিকদের একটি অংশ। বাগান এলাকায় ব্যাঙ্ক পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ রয়েছে। টিডিএস ফেরত পেতে শ্রমিকদের ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে ব্যাঙ্কে যেতে হচ্ছে। বাগান এলাকায় সুষ্ঠু ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু না হলে টিডিএস এর আওতা থেকে বাগানগুলিকে বাদ রাখার দাবি জানিয়েছেন টিপা’র কর্মকর্তারা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন