Raju Bista

বিস্তাকে নিয়ে পাহাড়ে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী

বিজেপি সূত্রের খবর, আলাদা রাজ্য বা সংবিধান স্বীকৃত স্থায়ী সমাধান ছাড়া সবচেয়ে বড় দাবি, পাহাড়ের ১১টি জনজাতির তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫৪
Share:

দু’জনে: বাগডোগরা বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল ও বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। নিজস্ব চিত্র।

মোর্চা নেতা বিমল গুরুং এনডিএ ছাড়ার পর দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের দলীয় পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে পাহাড়ে এলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেল। শুক্রবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে শিলিগুড়িতে কিছুক্ষণ কাটিয়ে তিনি দার্জিলিং যান। রাস্তায় সরকারি কার্শিয়াং টুরিস্ট লজে বসেছিলেন। রাতে কালিম্পং জেলার দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে দার্জিলিং জেলার নেতারাও ছিলেন। গুরুং বিজেপি থেকে দূরত্ব বাড়ানোর পর জিএনএলএফ, সিপিআরএমের মতো দলগুলি সঙ্গে থাকলেও তা মোর্চার কাছে কিছু নয় বলে নেতাদের একাংশ কেন্দ্রীয় নেতাকে জানিয়ে দেন।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের খবর, আলাদা রাজ্য বা সংবিধান স্বীকৃত স্থায়ী সমাধান ছাড়া সবচেয়ে বড় দাবি, পাহাড়ের ১১টি জনজাতির তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতি। রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন আগে এর পক্ষে মত দিলেও কেন্দ্রের ঘরে তা ঝুলে রয়েছে। মোর্চা নেতা গুরুং থেকে বিনয় তামাং, অনীত থাপারা বিজেপির বিরুদ্ধে এই স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগ রোজ করছেন। সেখানে ভোটের আগে তা চালু করতে পারলে বিজেপি পাহাড়ে কি‌ছুটা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান নেতারা। সেই সঙ্গে পাহাড়ে সঙ্গীরা থাকলেও নিজেদের মতো সংগঠন বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আজ, শনিবার রাতে পটেলের পাহাড়ের বিজেপির সঙ্গী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

কিছু দিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিলিগুড়ি এলেও পাহাড়ে যাননি। এ বার সাংসদ রাজু বিস্তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পাহাড়ে এসেছেন। সাংসদ বলেন, ‘‘আগামী তিন দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবেন। বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলবেন।’’

Advertisement

আজ, শনিবারও দার্জিলিঙের একটি হোটেলে থাকছেন মন্ত্রী। সরকারি সূচি অনুসারে মহাকাল মন্দির দর্শন, সিংমারির কাছে জেনারেল লয়েডের সমাধি, বাতাসিয়া লুপ ঘুরে দেখা ছাড়াও কর্মীদের নিয়ে দলীয় বৈঠক করবেন। চা বাগানের সংগঠন, পর্যটন সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে। রাতে সঙ্গী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন। কাল, রবিবার দার্জিলিং থেকে তিনি মিরিকে যাবেন। সুখিয়াপোখরি, সীমানা দেখে মিরিক লেকে যাবেন। তা ঘুরে দেখে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বিকেলের মধ্যে শিলিগুড়ি ফিরে দিল্লির বিমান ধরবেন। এ দিন দুপুরে বিমানবন্দর থেকে মেডিক্যাল কলেজ যাওয়া ছাড়াও তিনি পাহাড়ে ওঠার আগে দুপুরে সাংসদের গেস্ট হাউসে যান। সেখানে এক দফা পাহাড় এবং তরাই এলাকা সম্পর্কে বর্তমান পরিস্থিতির কথা জেনে নেন।

এ দিন সন্ধ্যায় দার্জিলিং পৌঁছানোর পর জিএনএলএফ কর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন