জিরো টিলেজ চাষে চাঁচলে বাড়ছে উৎসাহ

চার বছর আগে শুরু হয়েছিল প্রকল্পের কাজ। তখন চার বিঘা জমিতে কাজ হলেও এখন তা পৌঁছেছে ৭০০ বিঘায়। মালদহে চাঁচল-২ ব্লকে জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে গম, মুসুর ও ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়তে থাকায় খুশি কৃষি বিজ্ঞানী মহল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫১
Share:

খেত পরিদর্শনে কৃষি বিজ্ঞানীরা। — নিজস্ব চিত্র

চার বছর আগে শুরু হয়েছিল প্রকল্পের কাজ। তখন চার বিঘা জমিতে কাজ হলেও এখন তা পৌঁছেছে ৭০০ বিঘায়। মালদহে চাঁচল-২ ব্লকে জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে গম, মুসুর ও ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়তে থাকায় খুশি কৃষি বিজ্ঞানী মহল।

Advertisement

মঙ্গলবার ওই প্রকল্পের জমি পরিদর্শন করতে চাঁচলে আসেন বাংলাদেশ ও নেপালের একদল কৃষিবিজ্ঞানী। ছিলেন প্রকল্পের এশিয়ার অধিকর্তাও টিপি তিওয়ারি-সহ অনেকেই। দুপুর থেকে পরিদর্শনের পাশাপাশি চাষিদের সঙ্গে কর্মশালাও করেন তাঁরা। উন্নত পদ্ধতিতে, কম খরচে কী ভাবে বেশি ফলন সম্ভব তা নিয়েই কর্মশালা হয়।

সচরাচর চিরাচরিত পদ্ধতি ছেড়ে অন্য কোনও পদ্ধতিতে চাষ করার উৎসাহ দেখান না কৃষকেরা। কিন্তু জিরো টিলেজ পদ্ধতি চাষিরা ভালভাবে গ্রহণ করেছেন বলে জানান চাঁচল-২ ব্লকের সহকারি কৃষি অধিকর্তা দেবাশিস ঘোষ। কৃষি দফতরের তরফ থেকেও চাষিদের সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

স্থানীয় স্তরে সিমিক মেক্সিকোর টেকনোলজিক্যাল সহায়তায় প্রকল্পটি পরিচালনা করেছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য সরকারের কৃষি বিভাগ। আর্থিক সহায়তা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, এই পদ্ধতিতে কম জলসেচ করেই চাষ করা সম্ভব। পাশাপাশি কম সংখ্যক শ্রমিক লাগে। বিনা কর্ষণে চাষ করায় জমির উর্বরতাও অক্ষুণ্ণ থাকে। দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি বা চার ফসলি করার ক্ষেত্রেও চাষিদের সচেতন করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন