হেমতাবাদে ফের শুরু চেক বিলি

ফের হেমতাবাদের বাঙালবাড়ি, হেমতাবাদ, নওদা, বিষ্ণুপুর ও চৈনগর পঞ্চায়েতের প্রায় চার হাজার চাষিকে চেক বিলির কাজ শুরু করল হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দফতর। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত ওই কাজ চলবে। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে হেমতাবাদের পাঁচটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো বিঘা জমির ভুট্টাচাষ নষ্ট হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হেমতাবাদ শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৫ ০২:০১
Share:

ফের হেমতাবাদের বাঙালবাড়ি, হেমতাবাদ, নওদা, বিষ্ণুপুর ও চৈনগর পঞ্চায়েতের প্রায় চার হাজার চাষিকে চেক বিলির কাজ শুরু করল হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দফতর। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত ওই কাজ চলবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে হেমতাবাদের পাঁচটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো বিঘা জমির ভুট্টাচাষ নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণের চেক বিলির কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দফতরে চড়াও হয়ে কৃষি অধিকর্তা শ্রীকান্ত সিংহকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর কৃষি দফতরের তরফে চেক বিলির কাজ বন্ধ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। শ্রীকান্তবাবু একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। পক্ষান্তরে, হেমতাবাদ ব্লক মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা সফেরা খাতুন ও ওই সংগঠনেরই হেমতাবাদ ব্লক কমিটির সদস্যা জোহরা খাতুন ও মৃত্যুঞ্জয়বাবু শ্রীকান্তবাবুর বিরুদ্ধে হেমতাবাদ থানায় শ্লীলতাহানি ও মারধরের তিনটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। তার পর থেকে চেক বিলি বন্ধ ছিল।

পুলিশ দু’পক্ষের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি, কৃষি দফতর শ্রীকান্তবাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে নেমে এক সপ্তাহের মাথায় তাঁকে রায়গঞ্জ রায়গঞ্জ মহকুমা কৃষি আধিকারিকের (বিষয়বস্তু) পদে বদলি করে। এ দিকে দলীয় নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে শ্রীকান্তবাবুকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মধ্যে চেক বিলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশ। চাষিদের কাছে যাতে দলের বিরুদ্ধে ভুল বার্তা না যায়, সে জন্য অবিলম্বে চেক বিলির কাজ শুরু করার দাবিতে আন্দোলনে নামে তৃণমূল।

Advertisement

হেমতাবাদ ব্লক কৃষি অধিকর্তা শক্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘চেক বিলির কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত ১৪ জুন সর্বদল বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েতের ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের আবেদন খতিয়ে দেখে সমীক্ষা করে এ দিন থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিলির কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর দাবি, চেক বিলির কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের নামের তালিকা কৃষি দফতরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ব্লকের প্রায় চার হাজার ক্ষতিগ্রস্থ চাষিকে গড়ে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৭০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শ্রীকান্তবাবু বলেন, ‘‘আমি নিগৃহীত হওয়ার পরে আমাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে কোনও মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়াতে চাই না।’’ তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, ‘‘দল এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আন্দোলন শুরু না করলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন