ব্যাগের বোঝায় ধুঁকছে শৈশব

ব্যাগে সাতটি বিষয়ের সাতটি বই, সাতটি খাতা, ডায়রি, স্কেল, পেন্সিল ও টিফিন বাক্স, জলের বোতল সর্বোপরি রেনকোট মিলে ওজন প্রায় ১২ কেজি। তার সঙ্গে প্রতি সোমবার আঁকার খাতা, রং-পেন্সিলের বাক্সও যুক্ত হয়।

Advertisement

অনুপরতন মোহান্ত

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ০০:৫২
Share:

স্কুলব্যাগ কাঁধে। নিজস্ব চিত্র

স্কুল ব্যাগের বোঝার ব্যথা টের পাচ্ছেন অভিভাবক থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার কলকাতার স্কুলগুলোর মতো খুদে পড়ুয়াদের ভারবহনের কষ্টের কথা একবাক্যে স্বীকার করে বালুরঘাট শহরের ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কর্তৃপক্ষ বোঝা কমাতে উদ্যোগী হলেন।

Advertisement

বালুরঘাটের মঙ্গলপুর এলাকার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিজ্ঞতা ভয়াবহ বলে অভিযোগ। পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে ক্লাসে পৌঁছতে খুদে পড়ুয়াদের অন্তত ৬০ মিটার পথ হাঁটার পরে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠতে হয়।

ব্যাগে সাতটি বিষয়ের সাতটি বই, সাতটি খাতা, ডায়রি, স্কেল, পেন্সিল ও টিফিন বাক্স, জলের বোতল সর্বোপরি রেনকোট মিলে ওজন প্রায় ১২ কেজি। তার সঙ্গে প্রতি সোমবার আঁকার খাতা, রং-পেন্সিলের বাক্সও যুক্ত হয়।

Advertisement

স্কুলের অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুল-ভ্যান বা গাড়ি করে গেটে নামিয়ে দেওয়ার পরে হেঁটে, সিঁড়ি ভেঙে ভারী ব্যাগ পিঠে নিয়ে রোজ শ্রেণিকক্ষে পৌঁছতে তৃতীয় শ্রেণির তিনটি বিভাগের শতাধিক কচিকাঁচার অনেকেরই পিঠে ব্যথা শুরু হয়েছে। ছোট শ্রেণির পড়ুয়াদের শ্রেণিকক্ষ কেন গ্রাউন্ড ফ্লোরে হবে না, প্রশ্ন উঠেছে। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ মোহনপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘ব্যাগের বোঝা কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রোজ সব বিষয়ের বই পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। রুটিন ঢেলে সাজানো হবে।’’

বালুরঘাটে বেসরকারি ও সরকারি মিলিয়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে আটটি। প্রায় সবগুলোই সিবিএসি বোর্ডের অধীন। বেসরকারি স্কুলগুলো থেকে পড়ুয়াদের পাঠ্যবই কিনতে হয়। সরকারি স্কুলের চেয়ে যা অনেক বেশি ভারী। শহরের চকভবানী এলাকার শিশুদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অন্যতম কর্মকর্তা সৌরভ কুণ্ডু বলেন, ‘‘ব্যাগের বোঝা কমাতে আমরা ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছি। সব বিষয়ের জন্য পড়ুয়াদের একটি খাতাই স্কুলে আনতে হয়। রুটিন করে বইয়ের বোঝা কমানো হয়েছে। জলের ছোট্ট বোতল আনলেই হয়। স্কুলের পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন