পাড়ার জামাইবাবু দমদমের একটি হোটেলে কাজ করেন। তার কাছে কলকাতার গল্প শুনে রোমাঞ্চিত হয়ে পড়েছিল সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর তিন পড়ুয়া। বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা এলাকা ছেড়েছিল। শেষে চাইল্ড লাইনের তৎপরতায় বর্ধমান স্টেশনে বালুরঘাট-শিয়ালদহগামী গৌড় এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার করা হল ওই তিন জনকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার মীনাপাড়ার বাসিন্দা ১১ ও ১৪ বছরের ওই তিন জন বালক স্থানীয় রামপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া। গত ২৬ মে দুপুর থেকে তারা নিখোঁজ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন থানায় খবর দেন। খবর পায় চাইল্ডলাইনও। তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে নিকটবর্তী রামপুর স্টেশনে বালুরঘাট-শিয়ালদহগামী গৌড় এক্সপ্রেসে চড়ে বসে। গন্তব্য ছিল কলকাতা। পাড়ার ওই জামাইবাবুর কাছে উঠে কলকাতা শহর ঘুরে দেখার প্রবল শখ ছিল ওই খুদেদের। অভিভাবক ও চাইল্ডলাইনের তৎপরতা ও পুলিশের সহায়তায় নিখোঁজ ওই তিন বালককে ওই দিন রাতেই বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হয়। সেখান থেকে চাইল্ডলাইনের মাধ্যমে তারা বাড়িতে ফেরে।
বুধবার বালুরঘাটে সিডব্লিউসির (চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি) মাধ্যমে ওই তিন জনকে তাদের বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার আগে ওদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘পাড়ার ওই জামাইবাবুর কাছে গল্প শুনে আমরা কলকাতা যাবো বলে ঠিক করেছিলাম। বাড়িতে জানালে তো যেতে দিত না। তাই বিনা টিকিটেই সাধারণ কামরায় উঠে পড়ি।’’ বালুরঘাটের চাইল্ডলাইনের কোঅর্ডিনটর সূরজ দাস বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে রামপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন কলকাতার একটি হোটেলের কর্মী এক ব্যক্তি। তাঁর বিয়ে হয়েছে ওই এলাকায়।
এ দিন ওই এলাকার আর একটি ১১ বছরের বালক সহ বালুরঘাটের পতিরাম এলাকার বাসিন্দা আরও দুই কিশোরকে চাইল্ডলাইনের মাধ্যমে পুলিশ উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। সে-ও পতিরাম এলাকার ওই দুই কিশোরের সঙ্গে রোজগার করার আশায় বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। দিল্লির স্টেশনে পুলিশ ওই তিন জনকে ধরে ফেলে।