রাতভর বৃষ্টি, শহর জলমগ্ন

মাসখানেক আগে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন ভূষণ সিংহ। তিনিও ওই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ০৩:০২
Share:

জলমগ্ন: রাজবাড়ির সামনে জল পেরিয়ে যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।

মাত্র এক রাতের বৃষ্টি। তাতেই কোথাও জমে গিয়েছে হাঁটু জল। রাজবাড়ির সামনে জল জমে যেন দিঘি তৈরি হয়েছে। শহরের নানা রাস্তাও জলের তলায়। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টিতে কোচবিহারের শহরের নিকাশির এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

Advertisement

অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। এই কারণেই অল্প বৃষ্টিতেই নিকাশির জল উপচে রাস্তায় এসে যায়। বাড়ির ভিতরেও ঢুকে পড়ে জল।

মাসখানেক আগে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন ভূষণ সিংহ। তিনিও ওই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, শহরের নিকাশিনালা সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হলেই শহরে পুরসভার ‘টিম’ নামবে। তারা নিকাশির জমে থাকা জল বের করে দেওয়ার জন্য কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহারে এ দিন ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাথাভাঙাতে হয়েছে ১২১ মিলিমিটার। ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জেও। ভোর রাত থেকেই কোচবিহারের দেবীবাড়ি, রাজবাড়ির সামনের কেশব রোড, দিনহাটা রোড, ব্যাংচাতড়া রোড, রাসমেলার মাঠ জলে থইথই করতে থাকে। শহরের লাইফ লাইন সুনীতি রোডের কিছু অংশেও জল জমে যায়। তার মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। সকাল ৯টার পরে বৃষ্টি কমতে শুরু করলে জলও নেমে যেতে থাকে। কিন্তু কাদা হয়ে থাকায় সমস্যায় পড়ে স্কুলপড়ুয়া, অফিসযাত্রীরা।

দেবীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বিরাজ বসু বিজেপির শহর মন্ডলের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, “বাড়ির সামনে হাটু জল ছিল।’’ বৃষ্টি হলেই শহরের অবস্থা ভয়ঙ্কর হয় বলে জানান তিনি। কোচবিহারে হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরুপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “অল্প বৃষ্টিতেই রাজবাড়ির সামনে জল জমে যায়।’’ দীর্ঘসময় ধরেই এই অবস্থা চলছে বলে তাঁর অভিযোগ। জল জমে যাওয়ার জন্য অনুন্নত নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা মহানন্দা সাহা। বহুবার দাবি জানালেও পুরসভা কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন