লাঠি নিয়ে ওরা কারা

দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে মঙ্গলবার ফের উত্তাল হল মালদহের গনি খান চৌধুরী নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (জিকেসিআইইটি)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরাতন মালদহ শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:০৫
Share:

সন্দেহজনক: হাফ প্যান্ট পরে পুলিশের হেলমেট ও লাঠি হাতে ক্যাম্পাসে সন্দেহভাজন লোকজন। ছবি: তথাগত সেন শর্মা

দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে মঙ্গলবার ফের উত্তাল হল মালদহের গনি খান চৌধুরী নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (জিকেসিআইইটি)। অভিযোগ, এ দিন দুপুরে কলেজের বি ব্লকের সামনেই কলেজের বি-টেকের ২০১৫-১৬ বর্ষের কিছু পড়ুয়ার সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। মালদহ থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কলেজের বিটেকের সিনিয়র পড়ুয়াদের একজন পুলিশের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে তাঁদের কয়েকজনকে মারধর করেন। পুলিশও তাঁদের উপর হামলা করে। কলেজ চত্বরেও টি-শার্ট ও চটি পরা কিছু যুবককে পুলিশের হেলমেট ও লাঠি নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় বলেও অভিযোগ। যদিও কলেজের অভিযুক্ত পড়ুয়ারা আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাল্টা তাঁরা আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ করেন। পুলিশও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

গত ২৩ অগস্ট কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে গেজেট নোটিফিকেশন করে এই কলেজের ডিপ্লোমা ও বি-টেক কোর্সের সার্টিফিকেটকে অন্য কারিগরি কলেজের সমতুল্যের স্বীকৃতি দেয়।

কলেজ সূত্রে খবর, সেই নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ এদিন কলেজেরই বিটেকের ১৫-১৬ বর্ষের (দ্বিতীয় ব্যাচ) পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন করার দিন ধার্য করেছিল। এই বিটেকের পড়ুয়ারা বলেন, তাঁদের তিনটি বিভাগের প্রায় ৯০ জন পড়ুয়ার প্রথম দু’টি সেমিস্টার পড়ানো হলেও ২০১৬ সালে কলেজে নানা অশান্তিতে দুটি সেমিস্টার হয়নি। সেই থেকে প্রায় আড়াই বছর ধরে তাঁরা ঘরে বসে রয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে জানায় যে এ দিন ফের তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করানো হবে, পুরো পাঠক্রম শেষ হবে। সে জন্যই প্রায় পাঁচ হাজার টাকার ডিমান্ড ড্রাফট কেটে তাঁরা অনেকেই কলেজে রেজিস্ট্রেশন করতে আসেন। কিন্তু আন্দোলনকারী জুনিয়র পড়ুয়ারা প্রশাসনিক ব্লক বন্ধ করে আন্দোলন করায় তাঁদের রেজিস্ট্রেশনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁদের পক্ষে পার্থ দাস বলেন, “প্রায় দু’বছর পরে আমাদের কোর্স শেষ করার একটা সুযোগ যখন এসেছে, তখন আমরা কলেজে এসে আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক ব্লক খুলে দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা গালিগালাজ, ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয়। আমাদের রেজিস্ট্রেশন এ দিন হল না।”

Advertisement

যদিও আন্দোলনকারীদের পক্ষে নাসিম নাওয়াজ অভিযোগ করেন, “কিছু সিনিয়র এসে আন্দোলন তুলে দিতে হুমকি দেন। প্রতিবাদ করলে তাঁরা আমাদের উপর চড়াও হয়। এক সিনিয়ার পুলিশের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে মারধর করে আমাদের। ছাত্রীদের হেনস্থাও করে তারা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন