পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের পর শান্তই গ্রাম

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও এক পুলিশ কর্মীকে মারধরের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে রবিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অন্য দিনের মতোই শান্ত রয়েছে গ্রাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৮
Share:

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও এক পুলিশ কর্মীকে মারধরের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে রবিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অন্য দিনের মতোই শান্ত রয়েছে গ্রাম। আগের দিনের পুলিশ-জনতা তাণ্ডবের রেশ খুব একটা নেই।

Advertisement

শনিবার দুপুরে উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে ডাম্পিংগ্রাউন্ড নিয়ে আলোচনা করতে গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন গ্রামবাসী। এক ডিএসপির দেহরক্ষীকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার থেকে। জেলাপ্রশাসনের তরফে উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামের সরকারি খাস জায়াগা বরাদ্দ করা হয় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে। ওই দিন বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান এলাকায় যান। স্থানীয় বাসিন্দারা ময়লা ফেলতে বাধা দিলে পুলিশ ছ’জনকে আটক করে। শনিবার পুরসভা ফয়লা ফেলতে আসবে শুনে ফের একত্রিত হন গ্রামবাসী। বেগতিক বুঝে পুরসভার চেয়ারম্যান ওই এলাকায় না গিয়ে জঙ্গলে ময়লা ফেলে ফিরে আসেন। পরে পুলিশ আধিকারিকেরা গ্রামে আলোচনা করতে গেলে তাঁদের উপরও হামলা করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, ‘‘ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে।’’

Advertisement

গ্রামে যাতে পুলিশ ময়লা ফেলার গাড়ি নিয়ে না ঢুকতে পারে, সে জন্য শনিবার সকাল থেকে প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। বাসিন্দারা পাথর, বাঁশ, বাঁটুল (গুলতি), তীর-ধনুক জড়ো করে রেখেছিলেন। ওই হামলার পর পুলিশ যদি ফের সেই গ্রামে ধরপাকড়ের জন্য যেত, তা হলে আরও বড় হামলা হতে পারত বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান আশিষ দত্ত জানান, পুজোর আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আপাতত ময়লা ফেলার কাজ বন্ধ থাকবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই প্রবীণ জানান, শুধু উত্তর বাইরাগুড়ি কেন আশপাশের অনেক গ্রামই ময়লা ফেলার বিষয়টি মেনে নেয়নি। ফলে শনিবার প্রতিবাদ করতে ঘাঘরা, বঞ্চুকামরি, সাতকোদালি থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন। তাঁরা জানান, পুরসভা যদি পুলিশকে নিয়ে ফের এলাকায় শহরের ময়লা ফেলতে আসে। গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে বাধা দেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement