Mathabhanga

মাথভাঙায় তৃণমূল কর্মীকে গুলি, অভিযুক্ত বিজেপি, অস্বীকার পদ্ম শিবিরের

গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী জিন্নাত পারভিন থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৪২
Share:

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। — নিজস্ব চিত্র

রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত মাথাভাঙা। গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। গতকাল রাতে মাথাভাঙা থানার হাজরাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাসি গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় আব্দুল জলিল মিয়াঁ নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তৃণমূল বিজেপি-র দিকে অভিযোগ তুললেও তা উড়িয়ে দিয়ে পদ্ম শিবিরের পাল্টা দাবি, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী জিন্নাত পারভিন থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গতকাল রাত ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে হাজরাহাট ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বালাসি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য খাদিজা খাতুনের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই খবর পেয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে যান তাঁর স্বামী। তখন একদল দুষ্কৃতী তাঁর স্বামীর হাত এবং পায়ে গুলি করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ভেঙে যায় চোয়াল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে।

হামলার শিকার এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের খাদিজা খাতুন বলেন, “গতকাল মাথাভাঙায় তৃণমূলের জনসভা ছিল, সেই জনসভা থেকে ফেরার পর বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে হামলা করে। খবর পেয়ে প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মী জলিল আমার বাড়িতে এলে তাঁকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সেনা পরিচয়ে বিয়ে, সহবাসের ছবি ছড়ানোর হুমকি, বিপাকে বর্ধমানের তরুণী

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে বিজেপি জেলায় জেলায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। আমাদের দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

আরও পড়ুন: বৈশাখী নিমন্ত্রিত নন, বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাচ্ছেন না শোভন

অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি-র জেলা সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। দোষ দিচ্ছেন বিজেপির উপর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন