ফের দ্বন্দ্ব, অবরোধ

প্রধাননগর থানার পুলিশ অটো চালকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে যান। বিকেলে অটো চালকেরা বেপরোয়া হয়ে পড়লে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে জংশন এলাকা নামেন ডিসি (ট্রাফিক) সুনীল যাদব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০২:০৭
Share:

অবরোধ: অটো-টোটো চালকদের। —নিজস্ব চিত্র।

শহরের সেবক রোডের পর এ বার মাল্লাগুড়ি-জংশন এলাকা। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি গোলমাল চলল টোটো এবং অটো চালকদের মধ্যে। মারপিট, রাস্তা অবরোধ, অটো বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা। আবার হিলকার্ট রোডের একটি অংশ অটো চালকেরা বন্ধ করে রাখায়, ব্যাপক যানজট দেখা দেয়।

Advertisement

প্রধাননগর থানার পুলিশ অটো চালকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে যান। বিকেলে অটো চালকেরা বেপরোয়া হয়ে পড়লে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে জংশন এলাকা নামেন ডিসি (ট্রাফিক) সুনীল যাদব। চালকদের রীতিমত তাড়া করে এলাকা খালি করা হয়। গ্রেফতারের ভয়ে এর পরে অটো চালকেরা অটো নিয়ে সরে পড়েন। বৃহস্পতিবারেও একইভাবে সেবক রোড, দুই মাইল এলাকায় টোটো-অটোর গোলমালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।

অটো চালকেরা জানান, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলি, ছোট রাস্তায় টোটো চলার কথা। কিন্তু সেবক রোডের মত হিলকার্ট রোডেও দেদার টোটো চলছে। প্রতিবাদ করলে উল্টে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ দিন এক টোটো চালককে মৈনাক লজের সামনে দাঁড় করানো নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। অটো চালককে মারধর করে টোটো চালক পালায়। সিটি অটো অপারেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্মল সরকার জানান, ট্রাফিক পুলিশকে আমরা বারবার টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে বলছি। কিন্তু তা হচ্ছে না। উল্টে, টোটো চালকেরা রীতিমত গুন্ডাগিরি করছেন। এটা বন্ধ করতে হবে। পুলিশ-প্রশাসনের উপর এখনও আমাদের ভরসা রয়েছে। নইলে তো আন্দোলন করতেই হবে।

Advertisement

টোটো চালকদের পাল্টা দাবি, অটো চালকেরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছেন। পুলিশ রুট ঠিক করার কথা জানিয়েছে। কোর্টের নির্দেশ আসলে রুটও ঠিক হয়ে যাবে। তার আগে অটোর চালকেরা নিজেরা সব ঠিক করে দিতে চাইছেন। গোলমাল পাকিয়ে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। টোটো চালকদের দেখলে মারধর করা হচ্ছে। তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘ছোট রাস্তা, এলাকায় তো অটো দেদার চলছে। তা তো বন্ধ হচ্ছে না!’’

এ দিন প্রথমে মৈনাকের সামনে, পরে জংশন পুরানো পাসপোর্ট দফতরের সামনে দু’পক্ষ মারপিটে জড়ায়। কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। কিছু দোকানপাট বন্ধ হয়। লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। পুলিশ আসে। কমিশনারেটের দু’জন ডিসি গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, অবিলম্বে দু-পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হচ্ছে। এমন গোলমাল রোজ হলে দু’পক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা, গ্রেফতারি, গাড়ি আটক করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন