Mamata Banerjee

স্বপ্নার কোনও দোষ নেই, বললেন মমতা

সম্প্রতি স্বপ্নার বাড়িতে বন দফতরের অভিযানের পরেই বিভিন্ন রাজবংশী সংগঠন মুখ খুলতে শুরু করে। গ্রেটার কোচবিহার পিপল্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মণ দাবি করেন, তিনি ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৪:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

কাঠের কাগজের খোঁজে বন দফতরের তল্লাশির খবর জেনে এশিয়াডে সোনা জয়ী স্বপ্না বর্মণকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে স্বপ্না বর্মণ, ভাল খেলে, রাজবংশী মেয়ে। .ফরেস্টের কিছু লোক তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমি কী করে জানব, আমাকে কেউ কাঠ বিক্রি করছে, সেটা ভাল না চুরির? আমি এখনও মনে করি, ওর দোষ নেই। ও কিনে ফেলেছে বাড়ি করবে বলে। আমি ঘটনাটা জেনেই তাকে ফোন করি। স্বপ্নাকে চিন্তা করতে বারণ করি। বন দফতরের যে অফিসার তার বাড়িতে গিয়েছিল, তাঁকেও ট্রান্সফার করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’’ বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

তবে স্বপ্না বা তাঁর পরিবারের কেউ সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেননি।

সম্প্রতি স্বপ্নার বাড়িতে বন দফতরের অভিযানের পরেই বিভিন্ন রাজবংশী সংগঠন মুখ খুলতে শুরু করে। গ্রেটার কোচবিহার পিপল্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মণ দাবি করেন, তিনি ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বংশী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আগাম জানলে এমন ঘটনা হত না। স্বপ্নার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সমস্ত মামলা তুলে নেওয়ার কথা জানান তিনি। বন দফতরের অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।’’

তৃণমূলের রাজবংশী নেতারাও বন দফতরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। জেলা তৃণমূল সভাপতি তোপ দাগেন বন আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী এ দিন দুপুরেই বলেন, “বন দফতর যায়নি, দফতরের একজন আধিকারিক গিয়েছিলেন। বিজেপি নোটবন্দির সময় অনেক টাকা জোগাড় করে রেখেছে। সেই টাকার জোরে এখন তৃণমূল সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “তৃণমূল সরকারই বন দফতরকে অভিযানে পাঠিয়েছিল।’’

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন