ফের গরু চুরির ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ল ডুয়ার্সের শামুকতলা থানার চেপানি, বাকলা স্কুলডাঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে শামুকতলা থানার চেপানি গ্রাম থেকে বিধু রায় ও মণি রায় নামে দুই কৃষকের তিনটি গরু চুরি হয়েছে। এর মধ্যে এক জোড়া হালের গোরু। তার এক সপ্তাহ আগে স্কুলডাঙ্গার নারায়ণ মজুমদারের এক জোড়া হালের বলদ এবং সন্তোষ দেবনাথের একটি গরু চুরি হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে অন্তত কুড়িটি গরু চুরি হয়েছে। পুলিশ এবং গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে ছোট ট্রাক নিয়ে গ্রামে ঢুকে ৩১ সি জাতীয় সড়ক পথে ওই গরুগুলি নিয়ে পালিয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে গত বছর পুজোর আগে একই কায়দায় ডুয়ার্সের ৩১ সি জাতীয় সড়ক লাগোয়া পশ্চিম চেপানি, পূর্ব চকচকা ও টটপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে রাতের অন্ধকারে উধাও হয়ে গেছে অন্তত ১০০টি গরু। পুলিশ সে সময় চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।
গ্রামবাসীরা জানান, চেপানি গ্রামের বিধু রায় গত মঙ্গলবার রাতে আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখেন গোয়াল ঘরের দরজা হাঁ করে খোলা।
হালের দুটি বলদ উধাও। বিধুবাবু বলেন, ‘‘নিজের দুই বিঘা জমি ও অন্যের মিলিয়ে ছয় জমি চাষ করে কোনও মতে সংসার চলে। হালের বলদ দু’টি এ ভাবে চুরি হওয়ায় আমার চাষ আবাদ বন্ধ করে দিতে হবে।’’
গ্রামবাসীরা জানালেন, শিবকাটা, টটপাড়া, পশ্চিম চেপানি ও পূর্ব চকচকা গ্রামের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে ৩১ সি জাতীয় সড়ক। এই গ্রামগুলি থেকে অসম সীমানা মাত্র ১৫ কিমি। বাংলাদেশ বা ভুটান ৪০ মাত্র কিমি। গ্রামবাসীদের দাবি গাড়িতে উঠিয়ে জাতীয় সড়ক পথে অসম বা বাংলাদেশ পাচার করে দেওয়া হচ্ছে ওই গরু গুলি।
শামুকতলা থানার ওসি এলপি ভূটিয়া জানান “মাঝে মধ্যে দু’একটি গোরু চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু এ ভাবে কয়েকদিনের মধ্যে এতগুলি গরু চুরির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ গরু চুরি রুখতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রামবাসীদের আরজি পার্টি গড়ে রাত পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”