পাহাড়ে বিধি ভাঙার নালিশ

নির্বাচনের আগে পাহাড়ে ভোট বিধি ভাঙার অভিযোগে পরস্পরের বিরুদ্ধে তাল ঠুকছে তৃণমূল এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দু’পক্ষই। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট ‘কিনতে’ সরকারি প্রকল্পে ঘর তৈরির জন্য চেক বিলি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৭ ০৩:০৬
Share:

নির্বাচনের আগে পাহাড়ে ভোট বিধি ভাঙার অভিযোগে পরস্পরের বিরুদ্ধে তাল ঠুকছে তৃণমূল এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দু’পক্ষই। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট ‘কিনতে’ সরকারি প্রকল্পে ঘর তৈরির জন্য চেক বিলি চলছে। মোর্চার দাবি, ভোটের চার দিন আগে সরকারি প্রকল্পের ঘর তৈরির জন্য বালি-পাথর ফেলা হচ্ছে। থানা থেকে শুরু জেলা প্রশাসনের আদর্শ আচরণ বিধি (এমসিসি) সেলে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে মিরিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

Advertisement

মিরিক পুর এলাকায় জিটিএ-র ‘হামরো-ঘর’ প্রকল্পের চেক বিলির অভিযোগে গুরুঙ্গ ছাড়াও সৌরিণীর জিটিএ সদস্য অরুণ সিগচি’র নামেও মামলা করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, প্রতিটি পরিবারের হাতে ৭০ হাজার টাকা চেক গোপনে দেওয়া হচ্ছে। চেকের প্রতিলিপিও জমা করেছে তারা। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘তদন্ত করে পদক্ষেপ হবে।’’

মঙ্গলবার মন্টিভিট চা বাগানে একই প্রকল্পে ৫০ হাজার টাকার চেক বিলির অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। বুধবারও কালিম্পং বাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা এ দিন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। বুধবার ঘটনার জেরে কালিম্পং বাজারে বন‌্ধ পালন করেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তবে এ দিন কালিম্পং স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব।

Advertisement

তৃণমূলের তরফে মিরিক পুরসভায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীকে। তিনি বলেন, ‘‘বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে চেক বিলি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছি। টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা রোখা হবে।’’ জিটিএ সদস্য অরুণ সিগচি’র পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূল পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে টাকা দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছে।’’ কার্শিয়াঙের সাত নম্বর ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভোট বিধি উপেক্ষা করে কার্শিয়াঙে একটি কমিউনিটি কেন্দ্রের টেন্ডারও হয়েছে বলে অভিযোগ। কার্শিয়াঙের জিটিএ-এর সভাসদ যোগেন্দ্র রাই-এর দাবি ‘‘জলপাইগুড়ির পূর্ত দফতর থেকে ওই টেন্ডার করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’

মোর্চা নেতাদের অভিযোগ, ভোট বিধির দোহাই তুলে তাদের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। বুথ অফিস খুলতেও দেওয়া হচ্ছে না। গত সাত দিনে বিধি ভঙ্গের অন্তত ৩০টি অভিযোগ জানিয়েছে মোর্চা। মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রদীপ প্রধানের দাবি, ‘‘পায়ের তলার মাটি কাঁপছে। আগে থেকে হারের অজুহাত তৈরি করে রাখছে মোর্চা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন