শুধুমাত্র সন্দেহের জেরে কেটে নেওয়ার হল মহিলার মাথার চুল। এমনকী, তাঁর একমাত্র সন্তানকে কেড়ে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠলো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে মানিকচকের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে ওই ঘটনার পরে নির্যাতিতা ওই বধূ স্বামী রফিকুল ইসলাম সহ পরিবারের পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বিএসএফ জওয়ান। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
চার বছর আগে চাঁচলের চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। রফিকুল রাজস্থানে কর্মরত। তাঁদের দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের বছর খানেক পর থেকেই নানা অজুহাতে স্ত্রীর উপরে অত্যাচার চালাতেন রফিকুল। এমনকী, শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরবাইক কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তবে দিনমজুর শ্বশুরের পক্ষে মোটরবাইক দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর থেকেই অত্যাচার আরও বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মহিলার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেও তার উপর নির্যাতন চালানো হত। গত, শুক্রবার রফিকুল রাজস্থান থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। এ দিন রাত থেকে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। একই সঙ্গে মহিলার মাথার চুলের একাংশ কেটে দিয়ে বাড়ি থেকে বের করা দেওয়া হয়। মহিলার সন্তানকেও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা মহিলাকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
নির্যাতিতা বলেন, ‘‘আমার স্বামী অন্যত্র বিয়ের পরিকল্পনা করেছেন। তাই আমার চরিত্র খারাপ বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আমি চাই আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’’ দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন নির্যাতিতা ওই মহিলার পরিবারও। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।