আপস-মীমাংসা নয়, যৌন নিগ্রহের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চান আক্রান্তরা

ধূপগুড়ি থানার পুলিশও এ দিন জানিয়েছে যে অভিযুক্তদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। যা নিয়ে বিরোধীদের দাবি, পুলিশ তৃণমূলের চাপে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০১
Share:

অভিযুক্তদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।

ধূপগুড়িতে এক যুবককে মারধর এবং তাঁর বোনেদের যৌন নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে রবিবার ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এবং তৃণমূলের জেলা সম্পাদক রাজেশকুমার সিংহ দাবি করেছিলেন যে, আক্রান্তরা নাকি ওই বিষয়টি আপোসে মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন। কিন্তু সে কথা অস্বীকার করলেন আক্রান্তরা।

Advertisement

যে গ্যারেজে ওই যুবক কাজ করেন সেই গ্যারেজ মালিককে দিয়ে নাকি এ ব্যাপারে তাঁদেরকে অনুরোধও করেছেন আক্রান্তরা। এমনটাই দাবি করেছিলেন রাজেশকুমার সিংহ। কিন্তু সোমবার আক্রান্ত যুবক জানালেন যে, গ্যারাজ মালিকের সঙ্গে তাঁদের এমন কোনও কথা হয়নি। বরং তাঁদের বক্তব্য, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা মীমাংসার পথে হাঁটবেন না। বিষয়টি মিটিয়ে নিতে তাঁদের উপর চাপ আসছে ঠিকই। কিন্তু আক্রান্তরা অভিযুক্তদের শাস্তি চান।

সোমবার ফোনে আক্রান্ত যুবক বলেন, ‘‘ওদের সঙ্গে আবার কীসের মীমাংসা। সারারাত ধরে যারা আমাকে এবং আমার ভাই, বোনদের আটকে রেখে মারধর করল, ইজ্জত কেড়ে নিতে চাইল তাদের সঙ্গে কী করে মীমাংসা করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা গরীব। তাই পুলিশ আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। কিন্তু আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক, আমরা এটাি চাই।’’

Advertisement

আক্রান্তদের এই বক্তব্য নিয়ে এ দিন ফের রাজেশকুমার সিংহকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অবশ্য ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যস্ত আছি। বিষয়টি পরে দেখব।’’

আক্রান্ত যুবকের এক বোন বলেন, ‘‘গ্যারাজ মালিক হয়তো অভিযুক্তদের চাপে এখন বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাইছেন। কিন্তু আমরা এফআইআর তুলব না। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি। দেখি পুলিশ কী করে।’’

ধূপগুড়ি থানার পুলিশও এ দিন জানিয়েছে যে অভিযুক্তদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। যা নিয়ে বিরোধীদের দাবি, পুলিশ তৃণমূলের চাপে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না। ধূপগুড়ির বিজেপি নেতা তপন মহন্ত বলেন, ‘‘পুলিশ আসলে কিছুই করেনি। আর করবেও না। খুব অবাক লাগছে গরীব মানুষ সাহস করে এফ আই আর করতে পারে। আর পুলিশ সাহস করে অপরাধীদের ধরতে পারছে না।’’ এই ব্যাপারে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন