Death

রিপোর্ট নিয়ে ধন্দ

পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ৩ অগস্ট ওই মহিলা বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে লালারস দিয়েছিলেন।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৮:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা সংক্রমিত সন্দেহে অসুস্থ এক মহিলাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ৫ অগস্ট তিনি মারা যান। মৃত্যুর পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ লালারস পরীক্ষা করে জানিয়ে দেয় রোগীর করোনা সংক্রমণ নেই। সেই মতো ওই দিন রাতে পরিবারের হাতে দেহ দিয়ে দেওয়া হয়। দাহ কাজ সারতে বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা বাজে। পরিজন, এলাকার লোকজন এমনকী কাউন্সিলরও সৎকারের জন্য শ্মশানে গিয়েছিলেন। শুক্রবার দেখা যায় পুরসভার তরফে ওই বাড়ির সামনে হলুদ রিবন বেঁধে দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। সেই মতো ‘কন্টেনমেন্ট’ করা হল। পরে পুরসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার গিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। রিবন খুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ৩ অগস্ট ওই মহিলা বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে লালারস দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাতে আসে। তাতে মহিলার করোনা সংক্রমণ ছিল বলেই জানানো হয়েছে। এখন কোন রিপোর্ট ঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘এখানে পরীক্ষার যে রিপোর্ট সেই মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাইরের রিপোর্ট নিয়ে কিছু বলার নেই।’’ চিকিৎসকদের একাংশের যুক্তি, মৃত্যুর পর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তিনি যদি দু’দিন আগে পজ়িটিভ হয়ে থাকেন তা হলেও পরিবারের লোকদের সাবধানে থাকা দরকার।

৩ অগস্ট প্রথমবার মহিলার লালারস পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। দু’দিন পরে ৫ অগস্ট মৃত্যুর পর আর একবার পরীক্ষা হয়েছে। এই দুই দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট সত্যিই নেগেটিভ হল কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। পরিবারের লোকেদের প্রশ্ন, পজ়িটিভ হলে কেন দেহ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হল? এ দিন পুরকর্মীরা রিবন বাঁধতে এলে পরিবারের লোকেরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের নেগেটিভ রিপোর্টের কথা জানান।

Advertisement

অভিযোগ, পুরকর্মীরা তা শুনতে চাননি। এ টি কোভিড চিহ্নিত বাড়ি বলে চিৎকার করে জানিয়ে তাঁরা চলে যান। বলে যান, তাঁদের কিছু জানিয়ে লাভ নেই। বাড়ির লোকেরা পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুক।

মৃতের ছেলে বলেন, ‘‘মা মারা যাওয়ার পর মৃত্যুর শংসাপত্রে জানানো হয় তিনি কোভিড নেগেটিভ। হৃদরোগে মারা গিয়েছেন। অথচ তার পরেও কেন বাড়ির সামনে রিবন বেঁধে দেওয়া হয় বুঝতে পারছি না।’’

দক্ষিণ দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা ওই মহিলার মৃত্যু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সরকার বলেন, ‘‘বেসরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট মেনে বাড়ির সামনে রিবন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement