পুরসভার এক গাড়ির চালক ও দুই সাফাইকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল শহর কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ সভাপতি নয়ন দাসের বিরুদ্ধে। তিনি রায়গঞ্জের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর শিল্পী দাসের স্বামী। সোমবার দুপুরে অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় সুদর্শনপুর এলাকায়। পুরসভার তরফে নয়নবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে পুরসভার সাফাইকর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই গাড়ি চালকের নাম বিশ্বজিত কুন্ডু। দুই সাফাইকর্মীর নাম পিন্টু বাঁশফোর ও বিজয় বাঁশফোর। বিশ্বজিৎবাবু হাসপাতালে ভর্তি। রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন বিশ্বজিতবাবু, পিন্টুবাবু ও বিজয়বাবু সুদর্শনপুর এলাকার একটি বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে মল পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। সেই সময় স্থানীয় একটি স্কুলের পুলকার ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে সেখানে আটকে যায়। পুলকারের গাড়ির চালক বিশ্বজিতবাবুকে তার গাড়িটি সরানোর কথা বলতেই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
তৃণমূল প্রভাবিত পুর কর্মচারি ফেডারেশনের পুরসভা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলকারের চালকের কাছ থেকে খবর পেয়ে নয়নবাবু ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের মারধর করে।’’ নয়নবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘সাফাইকর্মীরা ওই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বেআইনিভাবে এক হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’ নয়নবাবুর পাশে দাঁড়িয়ে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, ‘‘তৃণমূল নয়নবাবুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য জানান, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। গত বছরের ১৯ জুলাই ট্রাফিক পুলিশের একটি অফিস ভাঙচুর ও কর্তব্যরত এক হোমগার্ডকে মারধর করার অভিযোগে নয়নবাবুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।