Congress

তৃণমূলে যোগ! সরাসরি ‘না’ কংগ্রেস নেতার

যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে দলকে শক্তিশালী করে তুলতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিনহাটা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৬:৩৬
Share:

ফাইল চিত্র।

অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সকাল সকাল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা। সঙ্গে শাসক দলে যোগদানের আবেদন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজল না। রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী ফজলে হক পত্রপাঠ জেলা যুব সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে জানিয়ে দিলেন, কোনও অবস্থাতেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন না।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে যুব তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জেলা যুব সভাপতি অভিজিৎ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ফজলে হকের বাড়িতে যান। প্রথমে তাঁর শারীরিক খোঁজখবর নেন। এর পরেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করার জন্য তাঁকে আবেদন জানান অভিজিৎ। সেইসঙ্গে তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অনুরোধও করেন। কিন্তু সেই আবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। ফজলে হক সেখানেই জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসে ছিলেন, আছেন এবং কংগ্রেসেই থাকবেন।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, অভিজিতের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেন ফজলে হক। এমনকি, আলোচনায় কোচবিহার জেলার বিদ্রোহী বিধায়ক তৃণমূল মিহির গোস্বামীর প্রসঙ্গও উঠে আসে। অভিজিৎ চলে যাওয়ার পর তিনি জানান, তৃণমূলে একদিকে শুভেন্দু অধিকারী, আর একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ভালই সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এখন সক্রিয় রাজনীতি না করলেও কংগ্রেস ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। জেলা কংগ্রেস নেতা আজিজুল হক বলেন, ‘‘অভিজিৎ দে ভৌমিক যুব কংগ্রেসে থাকাকালীন আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক ছিল। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি হওয়ার পর এ দিন আমাদের বাড়িতে আসেন। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’

Advertisement

অভিজিৎ পরে বলেন, ‘‘এ দিন দিনহাটায় প্রাতঃভ্রমণ কর্মসূচিতে এসে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ফজলে হকের সঙ্গে দেখা করি। তাঁর শারীরিক খোঁজখবর নিই। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করার কথা বলেছি। একই সঙ্গে দলে যোগদান করার জন্য আহ্বানও করলাম। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে একসঙ্গে পথ চলার জন্য আবেদন জানিয়েছি। নেত্রীর প্রতি তাঁর একটা ভালোবাসা ও স্নেহ রয়েছে।’’

যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে দলকে শক্তিশালী করে তুলতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে প্রাতঃভ্রমণের মধ্য দিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচিও শুরু হয়েছে। এ দিন চিকিৎসক বিদ্যুৎকমল সাহা, শিক্ষক নীলাম্বর সরকার, উত্তম রায় এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় দলের পুরনো কর্মীদের পাশাপাশি রাস্তার ধারে চা ও বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দলনেত্রীকে আশীর্বাদ করার আবেদন করেন যুব নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন