ঘাটতি নেই বিদ্যুতের, এমনই দাবি বারবার করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ছবিটা একদমই অন্যরকম মালদহের চাঁচলে। টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কোথাও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জেরে ক্ষোভের পারদ চড়ছিল চাঁচলের বাসিন্দাদের মধ্যে। সোমবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরেই পাঁচ ঘণ্টা ধরে জাতীয় সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়ায়।
২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই মঙ্গলবার ফের একই অভিযোগে চাঁচলের মালতীপুরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। যার জেরে নাকাল হতে হল নিত্যযাত্রীদের। ঘণ্টাদেড়েক অবরোধ চলার পর বিদ্যুৎ দফতরের আশ্বাসে সন্ধেয় অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা। যদিও সমস্যা না মিটলে ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির মালদহের রিজিওনাল ম্যানেজার দিলীপকুমার বাছাড় বলেন, ‘‘বোরোচাষের মরসুম হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রচন্ড বেড়ে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’ তাই ভোল্টেজ ঠিক রাখতে বাধ্যতামূলকভাবে এলাকা ভিত্তিক ২-৬ ঘণ্টা লোডশেডিং করাতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এই সমস্যার কথা প্রশাসনের সর্বস্তরে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না, থাকলেও এতটাই লো-ভোল্টেজ থাকে যে তা কোনও কাজেই আসে না বলে তাঁদের দাবি। পাশাপাশি শ্যালো পাম্পসেট না চলায় বোরোধানের চাষের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। মালতীপুরের বাসিন্দারা প্রচন্ড গরমে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জেরে নাভিশ্বাস উঠছে তাঁদের। লো-ভোল্টেজের ফলে এলাকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পও বন্ধ হতে চলায় পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার বাসিন্দারা।
চাঁচলের অলিহন্ডা অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি আসরাফুল হকের অভিযোগ, ‘‘এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিজীবী। বিদ্যুত বিভ্রাটে সেচ ব্যাহত হওয়ায় চাষিদের বিপাকে পড়তে হয়েছে।’’