রঞ্জনের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে গুঞ্জন শহরে

কারও নিজের নামে বা স্ত্রীর নামে বাড়ি গাড়ি, জমি। আবার কারও নামমাত্র টাকা পয়সা রয়েছে। শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এমনই নানা তথ্য সামনে আসছে। ইতি মধ্যেই যাঁরা মনোনয়ন জমা করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা এসজেডিএ-র বোর্ড সদস্য রঞ্জন শীলশর্মাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৪:৩৪
Share:

কারও নিজের নামে বা স্ত্রীর নামে বাড়ি গাড়ি, জমি। আবার কারও নামমাত্র টাকা পয়সা রয়েছে। শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এমনই নানা তথ্য সামনে আসছে। ইতি মধ্যেই যাঁরা মনোনয়ন জমা করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা এসজেডিএ-র বোর্ড সদস্য রঞ্জন শীলশর্মাও। রঞ্জনবাবু তাঁর বিষয় সম্পত্তিতে ফাটাপুকুর এবং ফাড়াবাড়ি এলাকায় যে জমি এবং তার দাম উল্লেখ করেছেন তা নিয়ে এখন নানা মহলে চলছে আলোচনা।

Advertisement

ওই হলফনামা অনুসারে স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ফাটাপুকুর এলাকায় রঞ্জনবাবু ৮.৮ একর জমি দেখিয়েছেন তাঁর নামে। তা ছাড়া ফারাবাড়ি এলাকায় ১ একর জমি রয়েছে তাঁর। ফাটাপুকুর এলাকার জমির বর্তমান বাজার মূল্য তিনি দেখিয়েছেন ৯ লক্ষ টাকা। রাজগঞ্জ ব্লক অফিস সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, ফাটাপুকুর এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা রয়েছে এমন জমির মূল্য বিঘা প্রতি ১৬ থেকে ২০ লক্ষ। রাস্তা নেই এমন জমির মূল্যই ৫-৬ লক্ষ টাকা। ফারাবাড়ি এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা রয়েছে এমন সুবিধাযুক্ত জমির মূল্য ১০-১৫ লক্ষ টাকা। রাস্তা নেই এমন জমির মূল্য বিঘা প্রতি ৩/৪ লক্ষ টাকা। সেই হিসাবে রঞ্জনবাবুর ফাটাপুকুর এলাকার জমির মূল্য আড়াই কোটি টাকার উপরে।

ফারাবাড়ি এলাকার জমির মূল্যও ৪০ লক্ষ টাকার উপরে। রঞ্জনবাবুর দাবি, “ফাটাপুকুর এলাকার জমিটি চা বাগানের লিজ জমি। তাঁর নামে রয়েছে। সেটি চা বাগানের। সরকারি মূল্য তিনি যা উল্লেখ করেছেন সেটাই। ফারাবাড়ির জমির দামও তিনি সরকারি মূল্য হিসাবে যা হবে সেটাই উল্লেখ করেছেন।” জমি গুলি কৃষি জমি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

রঞ্জনবাবুর নথি অনুসারে ফাটাপুকুর এলাকার জমিটি তিনি ২০০৫ সালে ২লক্ষ ২৯, ৭২৯ টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন। ফারাবাড়ির জমিটি কেনেন গত বছরের গোড়াতে। তা ছাড়া নিজের নামে ১৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৮১ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন। তা ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৯০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি। তার মধ্যে রঞ্জনবাবুর হাতে নগদ রয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। স্ত্রী’র হাতে ২ লক্ষ টাকা। স্ত্রীর নামে ২০০ গ্রাম এবং রঞ্জনবাবুর নামে ৫০ গ্রাম সোনার জিনিস রয়েছে।

ডাবগ্রাম এলাকায় রঞ্জনবাবুর একটি বাড়ি ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে ঘোঘোমালি এলাকায় একটি বসত জমি রয়েছে। ২০১৩ সালে ১২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে সেটি কেনা হয়েছে। বর্তমানে তার বাজার দর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। ডাবগ্রামের রবীন্দ্রসরণিতে যে বাড়ি রয়েছে তাঁর বাজার দর ৫০ লক্ষ টাকা। তবে একটি ব্যাঙ্কে বাড়ি তৈরির জন্য তার ৯ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার মতো ঋণ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন