বদলির নির্দেশে বিতর্ক

নিজের বদলির নির্দেশ আসার পরে প্রায় একশো শিক্ষককে বদলির নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে মালদহের প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক)।এপ্রিল মাসের গোড়ায় মালদহ থেকে হুগলিতে বদলি হয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) গোপাল বিশ্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০৪:২২
Share:

নিজের বদলির নির্দেশ আসার পরে প্রায় একশো শিক্ষককে বদলির নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে মালদহের প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক)।

Advertisement

এপ্রিল মাসের গোড়ায় মালদহ থেকে হুগলিতে বদলি হয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) গোপাল বিশ্বাস। মাসের শেষে নতুন জায়গায় কাজে যোগ দেওয়ার আগে তিনি জেলার একাধিক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ প্রায় একশো সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন স্কুলে অস্থায়ীভাবে বদলি করে যান। আর এই বদলি নিয়েই জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে মালদহ জেলাজুড়ে। শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকদের এমনভাবে বদলি করা নিয়মবহির্ভূত ও অবৈধ। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে মানা হয়নি ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত। যদিও প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দাবি, মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে ওই বদলি করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা আমরা মানছি না। এই বদলি প্রত্যাহার করার দাবিতে আন্দোলনে নামবে সংগঠন।’’ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক আইনুল হকের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকদের এ ভাবে ড্রাফটিং বদলি করা যায় না। এটা অবৈধ। মালদহের প্রাক্তণ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্রও বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষকদের ড্রাফটিং ট্রান্সফার করার কোনও নিয়ম নেই।’’ বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে জেলার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক হিরন্ময় মণ্ডল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যদিও গোপালবাবু টেলিফোনে বলেন, ‘‘মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সব বদলি করা হয়েছে। এখানে কোনও অনিয়ম নেই।’’ তবে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের তারতম্যের বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

এদিকে বদলি হওয়া প্রধান শিক্ষকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে পড়েছেন মহা ফাঁপড়ে। যেমন, হবিবপুর সার্কেলের শিশুডাঙা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয় শীলকে বদলি করা হয়েছে ওই সার্কেলেরই ডুবাপাড়া প্রাইমারি স্কুলে। গত ২৯ তারিখ তিনি নতুন স্কুলে কাজে যোগ দিলেও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি সংশ্লিষ্ট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলক মৃধা। অলকবাবু বলেন, ‘‘মলয়বাবুর কাছে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও আমাকে চার্জ বুঝিয়ে দিতে হবে এমন নির্দেশ সংসদ দেয়নি। ফলে চার্জ দেওয়া যায়নি।

মোথাবাড়ি সার্কেল থেকে সদর দক্ষিণ সার্কেলে বদলি হওয়া এক প্রধান শিক্ষক তো জটিলতার জেরে এখনও কাজেই যোগই দিতে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement