কেন যে এমন হচ্ছে, অবাক গৌতম-আলমরা

শুধু ঘুঘুমারির ওই যুবকরা নন, সীমান্ত থেকে শহর কোচবিহারও গর্জে উঠেছেন ওই ঘটনার প্রতিবাদে। কেউ কেউ সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও সরব হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

কয়েক দিন থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন ওরা। বারবার আসা খবরগুলো মন বিষিয়ে দিচ্ছিল। পুলিশের তরফ থেকে যখন ডাক পেয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন দল বেঁধে। ‘শান্তিরক্ষার’ কথা শুনে এক সঙ্গে হাত উঠে গিয়েছিল আলম, গৌতম, বাবুলদের।

Advertisement

পরিষ্কার ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁরা বলেন, “উস্কানি বা অন্য কোনও ভাবে কেউ উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করলে, ফল ভাল হবে না। আমরা সোজা পুলিশকে অভিযোগ জানাব।” কোচবিহারের ঘুঘুমারি এলাকার ওই যুবকরা অন্তরঙ্গ বন্ধু। সারা দিন নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত থাকলেও সন্ধ্যাবেলা একবার হলেও দেখা করেন তাঁরা। ঘুঘুমারি বাজার কমিটির সভাপতি গৌতম দত্ত। আলমগির হোসেনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

তাঁরা বলেন, “বাদুড়িয়ায় যা ঘটেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। কেন এই বিরোধ? আমরা তো সারা দিনই এক সঙ্গে থাকি। এক সঙ্গে ঘুরে বেড়াই। একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণে যাই। কখনও তো কাউকে পর মনে হয় না। তা হলে কেন এমনটা হল?” বাদুড়িয়া থেকে কোচবিহারের দূরত্ব অনেকটা হলেও একই বাংলায় এমন ঘটনা কেউই মেনে নিতে পাচ্ছেন না।

Advertisement

শুধু ঘুঘুমারির ওই যুবকরা নন, সীমান্ত থেকে শহর কোচবিহারও গর্জে উঠেছেন ওই ঘটনার প্রতিবাদে। কেউ কেউ সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও সরব হয়েছেন। আলমগির বলেন, “এমনটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। তাই আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। কোথাও কোনও খবর পেলে এক মিনিট সময় নষ্ট করব না। পুলিশ ডেকে নেব। পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”

বাদুড়িয়ার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন কোচবিহারের পুলিশ-প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই সব থানাতেই গ্রামবাসীদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। সব গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হয়েছে শান্তি কমিটি। সেখানে যেমন জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তেমনই স্কুলের শিক্ষক সহ এলাকায় সুনাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। পুলিশের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে সকলকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ১২৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই শান্তি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের তরফেও নজর রাখা হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার এক ব্যক্তিকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের পোস্ট নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল, “সব গ্রামেই শান্তি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন