বাড়ি রেখে চলছে চিকিৎসা

কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ নেই এমন রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে শিলিগুড়িতে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদের কো-মর্বিডিটি নেই, বয়স কম এবং উপসর্গহীন তাঁদের কয়েকজনকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু   

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ০৩:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ নেই এমন রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে শিলিগুড়িতে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদের কো-মর্বিডিটি নেই, বয়স কম এবং উপসর্গহীন তাঁদের কয়েকজনকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এসব ক্ষেত্রে রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিশেষ কাউকে রাখতে হবে। তিনি দূরত্ব বজায় রেখে এবং নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবেন। পরিবারের লোক হতে পারে বা আয়া-নার্সও হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের দল ঘুরে ঘুরে ওই রোগীদের নজরে রাখবে। উপসর্গ দেখা দিলেই কোভিড হাসপাতালে নেওয়া হবে। শুক্রবার শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউজে দার্জিলিং জেলা টাস্ক ফোর্সের বৈঠকেও তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। শহরের নার্সিংহোমগুলোতে আইসোলেশন ওয়ার্ড রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রিকুতে তিন জনের এবং আইসোলেশনে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। রিকুতে মৃতদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আইসোলেশনে যিনি মারা গিয়েছেন রাত পর্যন্ত তাঁর রিপোর্ট মেলেনি। এ দিন জেলায় মোট অন্তত ১২ জনের করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট মিলেছে। তার মধ্যে মাটিগাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত ছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, নার্সদের অনেককে কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে। পুর এলাকায় নতুন করে ৬ জনের সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের গানের শিক্ষকের স্ত্রী রয়েছেন। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২ জনের সংক্রমণ হয়েছে। ৪৪ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে। পর্যটনমন্ত্রীর পাড়াতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আরও এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কার্শিয়াঙে ১ এবং তিনধরিয়াতে দু’জনের সংক্রমণ মিলেছে। এ ছাড়া প্রধাননগরে এক জন এবং কাওয়াখালির বাঘাযতীন কলোনিতে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলাশাসক এস পুন্নম বলম জানান, কনটেনমেন্ট জ়োনগুলোতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে যে সব পর্যালোচনা হয় টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে। ব্লকস্তরের টাস্ক ফোর্সের অধীনে পঞ্চায়েতগুলোতে টিম তৈরি হবে। তারা কনটেনমেন্ট জ়োন নজরদারি করবে। শিলিগুড়ি শহরের জন্য পুর কমিশনারকে চেয়ারম্যান করে, মহকুমাশাসককে রেখে একটি কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন