ফাইল চিত্র
নতুন করে কোচবিহারে আরও ১৬ জনকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে মালয়েশিয়া-ফেরত এক ব্যক্তিকে মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশনে ভর্তি করানো হয়েছিল। আজ তাঁকে সাধারণ শয্যায় পাঠানো হয়েছে। হোম কোয়রান্টিনে রয়েছে দুই হাজারের উপরে। কারও এখনও ভাইরাস না ধরা পড়লেও প্রশাসন-স্বাস্থ্য দফতর কড়া নজরদারি রেখেছে। ওই রিপোর্ট প্রতিনিয়ত যাচ্ছে রাজ্যের কাছেও। ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা নজরদারি রাখছেন। বুধবারও ভিডিয়ো কনফারেন্সে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি জেনে নেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলার প্রচুর মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করেন। অনেকেই কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্যে বিদেশে থাকেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে সবাই জেলায় ফিরতে শুরু করেন। তাঁদের নিয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্বাস্থ্য দফতর। মূলত বাইরে থেকে ফেরা বাসিন্দাদের নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়েন স্বাস্থ্য কর্তারা। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত তিনজনকে কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলাকে আগেই সাধারণ শয্যায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ দিন মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আইসোলেশনে ভর্তি করা নিশিগঞ্জের এক বাসিন্দাকেও সাধারণ শয্যায় নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিক্যালের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার পরে ওই ব্যক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়নি সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তাঁকে আইসোলেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, “প্রত্যেক রোগীকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা হচ্ছে।”