Coronavirus

বাড়িতে যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

এ ভাবেই ডেঙ্গির মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা সংক্রমণের সমীক্ষা, সচেতনতার প্রচার করবে দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি

কারও হাঁচি, কাশি, সর্দির সঙ্গে জ্বর, শ্বাসকষ্ট রয়েছে কি? তাঁদের কেউ বাইরে থেকে এসেছেন কি? নিয়ম মেনে হোম কোয়রান্টিনে থাকছেন, নাকি বাইরে বার হচ্ছেন? বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই তথ্য জানতে চাইবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বারবার হাত ধোয়া, আর কী কী করতে হবে সে বিষয়েও পরামর্শ দেবেন তাঁরা। লিফলেটও বিলি করবেন।

Advertisement

এ ভাবেই ডেঙ্গির মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা সংক্রমণের সমীক্ষা, সচেতনতার প্রচার করবে দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এর মধ্যে অক্সিলিয়ারি নার্স মিডওয়াইফারি (এএনএম)-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণও শেষ পর্বে। তা হয়ে গেলেই শীঘ্রই করোনার ওই সমীক্ষা শুরু হবে। শিলিগুড়ি পুর এলাকা, গ্রামাঞ্চল, পাহাড়ের সব জায়গাতেই এই সমীক্ষা হবে। সমীক্ষার কাজে যাঁরা যাবেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। সেই মতো মাস্ক, স্যানিটাইজার, প্রয়োজনে পিপিই-ও দেওয়া হবে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমায় পাঁচ শতাধিক আশা কর্মী আছেন। শিলিগুড়ি পুর এলাকাতেও স্বাস্থ্যকর্মী, আশা কর্মী মিলিয়ে পাঁচশোর বেশি কর্মী রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে এএনএম-দের ওই কাজে লাগানো হচ্ছে।

Advertisement

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘শীঘ্রই বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার সমীক্ষা করানো হবে। কোথাও সন্দেহভাজন রোগী রয়েছে কি না, যাদের বলা হয়েছে, তাঁরা নিয়ম মেনে হোম কোয়রান্টিনে থাকছেন কি না, সে সব দেখা হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টিও বলবেন।’’ করোনার চাপে ডেঙ্গি প্রতিরোধ, সমীক্ষার কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। তাই করোনার সমীক্ষা করতে যাঁরা যাবেন, তাঁদের দিয়ে একই সঙ্গে ডেঙ্গির সমীক্ষাও করা যায় কি না, ভাবা হচ্ছে।

কী ভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করবেন? স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শহরে বা গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির সমীক্ষা যাঁরা করতেন, তাঁদের দিয়েই কাজ করানো হবে। সর্দি, শুকনো কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট আছে কি না, খোঁজ নেবেন তাঁরা। বাসিন্দারা বাইরে গিয়েছিলেন কি না, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের কারও সংস্পর্শে গিয়েছিলেন কি না, খোঁজ নেওয়া হবে। হোম কোয়রান্টিনে যাঁরা আছেন, তাঁরা নিয়ম মানছেন কি না, সেটাও দেখা হবে।

শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ এসেছেন। লকডাউন পরিস্থিতিতেও ভিন্ রাজ্য থেকে শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া অনেক বাসিন্দা ফিরেছেন। অনেকে ফিরেছেন বিদেশ থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার ১০, ১৬, ২৪, ২৭, ৪৬-এর মতো ওয়ার্ডে। করোন পরিস্থিতিতে ওই বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কোয়রান্টিন বা হোম কোয়রান্টিনে পাঠানোর দাবি ওঠে। শিলিগুড়ি মহকুমার একাধিক জায়গায়, পাহাড়েও তা দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওই বাসিন্দাদের হোম কোয়রান্টিন বা কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের একাংশকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। তারা তা মানছেন কি না, নজরদারিও জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন