প্রতীকী ছবি
যুদ্ধ করার অস্ত্রই নেই। যেটুকু আছে, তাও শত্রু মোকাবিলায় সেটার কোনও গুরুত্ব নেই। ফলে চিন্তায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অতি-প্রয়োজনীয় পিপিই বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্টের জোগান একেবারেই কম আলিপুরদুয়ারে। ফলে জেলার স্বাস্থ্য মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও সংস্থা থেকে কিনে নিয়ে জেলায় আরও বেশি করে পিপিই-র জোগান নিশ্চিত করতে ব্যাক্তিগত ভাবে অর্থ সাহায্যেও এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে।
স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় চিকিৎসকেরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতালে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চিকিৎসক ও নার্সেরা কারা কবে ডিউটি করবেন সেই তালিকাও প্রায় তৈরি। কিন্তু পিপিই নিয়ে চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পর পিপিই-র বদলে রেনকোট দেওয়া নিয়ে রাজ্যে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এক-দেড়মাস আগে প্রথম ধাপে আলিপুরদুয়ারেও রেনকোটই পাঠানো হয়েছিল। যা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে আপত্তিও তুলেছিলেন কেউ কেউ। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা বিষয়টি জানার পরই রেনকোট ব্যবহার করতে বারণ করেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের কারও কারও মতে, জেলায় বর্তমানে যে সংখ্যায় পিপিই মজুত রয়েছে, একবার সংক্রমণ ছড়ালে কয়েকদিনেই তা শেষ হয়ে যাবে।
আইএমএ-র আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস বলেন, “করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সকল যোদ্ধাকেই সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। তাই পিপিই-র ব্যাপারে আমাদের সংগঠন ইতিমধ্যেই এগিয়েছে এসেছে। অনেক চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও পিপিই জোগাড়ে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসছেন।”