Coronavirus

প্রস্তুত আয়ুষ হাসপাতালও

করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় চলতি সপ্তাহেই কোভিড হাসপাতাল হিসাবে এই হাসপাতাল পুরোদমে চালু হয়ে যাবে বলে আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র

কোথাও বসছে দামি যন্ত্রপাতি। তো কোথাও একতলা থেকে দোতলাতে ওঠা-নামার জন্য তৈরি হচ্ছে র‌্যাম্প। নিশ্চিত রোগীদের সঙ্গে সন্দেহজনকদের আলাদা রাখতে কোথাও আবার কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পার্টিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যার নির্দেশে মাত্র সাতদিনেই কার্যত নতুন চেহারা নিয়ে ফেলেছে তপসিখাতার ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতাল।

Advertisement

করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় চলতি সপ্তাহেই কোভিড হাসপাতাল হিসাবে এই হাসপাতাল পুরোদমে চালু হয়ে যাবে বলে আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন।

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আচমকা বৃদ্ধি পেতে পেতেই এই সংক্রমণের মোকাবিলায় নানান সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তারা। সূত্রের খবর, সেই সময় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একংশ তপসিখাতার ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ব্যাবহার করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু সরকার দ্রুত আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর নির্দেশ দিলে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

একে নতুন ভবন, তার উপর জায়গা অনেক বেশি থাকায় আয়ুষ হাসপাতালের বদলে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকেই করোনায় আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। কিন্তু গত সপ্তাহে নবান্ন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আয়ুষ হাসপাতালকে কোভিড বা করোনা হাসপাতাল করতে জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, তার পরই ওই হাসপাতালটির চেহারা আমূল পরিবর্তন শুরু হয়।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই হাসপাতালে বেড সংখ্যা পচিশ থেকে বাড়িয়ে ১১০ করা হয়েছে। হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ছয়টি ভেন্টিলেটর বসে গিয়েছে। আরও আসছে চারটি ভেন্টিলেটর। রোগীদের ডায়গনস্টিকের জন্য ইতিমধ্যে বসতে শুরু করেছে একের পর এক দামি যন্ত্রপাতি। সেইসঙ্গে একতলা থেকে দোতলায় রোগীদের ওঠা-নামা করানোর জন্য তৈরি হচ্ছে কাঠের র‌্যাম্পও।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, হাসপাতালের একতলাতেই তৈরি হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। এছাড়া এই তলেই রাখা হবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের। আর পরীক্ষার আগে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের রাখা হবে দোতলায়।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই হাসপাতালে কাজ করবেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের ২৪০ জন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মী। যাদের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি দলে রয়েছেন আশিজন। রোটেশন অনুযায়ী একটি গোটা সপ্তাহ জুড়ে তাঁরা করোনায় আক্রান্তদের চিকিত্সা করবনে। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা জানান, চলতি সপ্তাহেই তপসিখাতার এই আয়ুষ হাসপাতাল পুরোদমে চালু হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন