প্রতীকী ছবি
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিযুক্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক নার্সকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত কালিম্পঙের মহিলার চিকিৎসা পরিষেবার কাজে যুক্ত ছিলেন ওই নার্স। তবে এখনও তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্তদের লালারস পরীক্ষা করা হয়।
সোমবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক নার্সকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি ভাল রয়েছেন।" ওই মহিলাকে মাটিগাড়ায় করোনা হাসপাতালে নেওয়ার কথা রয়েছে।
কালিম্পঙের বাসিন্দা ওই মহিলার চিকিৎসার সময় নার্সদের অনেক ক্ষেত্রে পিপিই মিলছিল না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন। যদিও নার্সরা সুপারের দফতরে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। কালিম্পঙের মহিলাকে যে রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল, পিপিই না মেলায় সাফাই কর্মীরা সেখানে কাজ বন্ধ করে দেয় একসময়ে। তখন অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে বলে নার্সরাও পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জানান। এর পরেই পরিস্থিতি সামলাতে পদক্ষেপ করা হয়।
এ দিন হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকেরা সুপারের দফতরে গিয়ে পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্কের দাবি জানান। এনআরএসে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ৫৫ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানোর প্রসঙ্গ তুলে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করেন তাঁরা। লিখিতভাবেও এ দিন তাঁরা সুপারকে বিষয়গুলি জানান। মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের তরফে চিকিৎসক সাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘আমরা সকলেই পরিষেবা দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা ঠিক ভাবে দেখা হচ্ছে না। মেডিসিন বিভাগেও কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ দিন চার জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের করোনা না হলেও সাবধান হওয়া প্রয়োজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত পর্যপ্ত পিপিই, মাস্ক দেওয়া হবে।’’
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইসোলেশনে নার্স ছাড়া আরও তিন জন রয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে যিনি মারা যান, তাঁর ছেলেও আছেন তাঁদের মধ্যে। এ দিন হাতিঘিষা কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে চার জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।