প্রতীকী ছবি
ট্রেনের কামরা বদলাচ্ছে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’। করোনা মোকাবিলায় মালদহ ডিভিশনে ট্রেনের ৩৫টি কামরাকে সে ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ১৮টি কামরাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বদলানো হয়েছে। দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলে ট্রেনের কামরায় অস্থায়ী ভাবে গড়ে তোলা আইসোলেশন ওয়ার্ড ব্যবহার করা হবে। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কামরাগুলিতে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গড়ে তোলা হয়েছে ৫০ শয্যার ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’। তা ছাড়া কালিয়াচক, সামসি এবং চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের প্রতিটিতে ১০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন্ রাজ্য বা দেশ থেকে জেলায় ফিরেছেন বহু মানুষ। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার লোককে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ রাখা হয়েছে। অনেককেই সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রেও রাখা হয়েছে।
পৃথক ভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরিতে তৎপর হয়েছে রেলও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশ জুড়ে অনেক ট্রেনের কামরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে বদলানো হচ্ছে। মালদহ ডিভিশনে ৩৫টি কামরায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের পরিকাঠামো থাকছে। স্লিপার ও সাধারণ কামরাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কামরার ‘মিড্ল বার্থ’ খুলে ফেলা হয়েছে। একটি কামরায় আটজন রোগী থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম যতীন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘রেল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশমতো কামরাগুলিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বদলানো হচ্ছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’
রেল সূত্রে খবর, কামরার রূপবদলের কাজ চলছে। কামরার জানলাগুলিতে বিশেষ জাল ব্যবহার করা হয়েছে। মশা, মাছি যাতে ভিতরে ঢুকতে না পারে। শৌচাগারগুলিও ঢেলে সাজা হচ্ছে। একটি করে শৌচাগার ‘ওয়াশ-রুম’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।