Coronavirus

মেলেনি সুরক্ষার সামগ্রী, আশঙ্কায় আশাকর্মীরা  

এমন ঝুঁকির কাজ করলেও মালদহে আশাকর্মীদের অনেকেই এখনও পর্যন্ত মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাননি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ০৮:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি

ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের খোঁজ নেওয়াই এখন তাঁদের কাজ। ওই শ্রমিকরা ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকছেন কিনা বা কোয়ারান্টিনে থাকাকালীন করোনাভাইরাসের কোনও উপসর্গ তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে কিনা— সেই খোঁজও তাঁদের করতে হচ্ছে।

Advertisement

এমন ঝুঁকির কাজ করলেও মালদহে আশাকর্মীদের অনেকেই এখনও পর্যন্ত মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাননি বলে অভিযোগ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, আশাকর্মীদের জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্লকে ব্লকে পাঠানো হয়েছে।

দেশ জুড়ে লকডাউনের জেরে ভিন্‌ রাজ্য থেকে অসংখ্য শ্রমিক মালদহের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তাঁরা কে, কবে বাড়ি ফিরছেন বা তাদের শারীরিক অবস্থা কী— তা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গ্রামে গ্রামে ঘুরে খোঁজ করছেন আশাকর্মীরা। বাড়ি ফেরা শ্রমিকদের যাবতীয় তথ্য জেনে তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী বা এএনএমদের মাধ্যমে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট দিচ্ছেন।

Advertisement

ওই শ্রমিকদের খোঁজ নিতে গিয়ে আশাকর্মীদের অনেকে বাধার মুখেও পড়ছেন। কালিয়াচকের আলিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক আশাকর্মী বলেন, ‘‘আমার এলাকায় লকডাউনের দু’দিন পরে চার জন শ্রমিক মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। কিন্তু তাঁরা সে সংক্রান্ত তথ্য জানাতে চাননি। শেষ পর্যন্ত গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে ডেকে এনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট পাঠাই। পরে তাঁদের হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়।’’

আশাকর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের খোঁজ করলেও তাঁদের সুরক্ষার সে রকম কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। আশাকর্মীদের একাংশ জানান, কোনও ব্লকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তাঁদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকেই এখনও পর্যন্ত সে সব পাননি। নিজেরাই মাস্ক কিনে পরছেন। কালিয়াচক-৩ ব্লকের বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক আশাকর্মী বলেন, ‘‘আমরা খুব ঝুঁকির কাজ করছি। ভিন্‌ রাজ্য থেকে যে শ্রমিকেরা ফিরেছেন, তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা তো প্রথমে জানা যায় না। তাঁদের বাড়িতেই আমাদের যেতে হচ্ছে, কথা বলতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়নি। তাতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’’

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথম দিকে কয়েকটি ব্লকে আশাকর্মীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে। দু’দিন আগে অন্য সব ব্লকেই আশাকর্মীদের সুরক্ষায় সে সব সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত তাঁরা তা পেয়ে যাবেন।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন