bhatridwitiya

করোনা এড়াতে ভার্চুয়াল ভাইফোঁটা

জলপাইগুড়ির নিউটাউন পাড়ার দেবজিত সেনের দিদি থাকেন কলকাতায়। দেবজিত এ বছর ফোঁটা নিতে যাননি। তাঁর কথায়, “প্রায় দশ বছরের একটা রীতি এ বার বদলে গেল।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কারও ভাই বাড়িতে নিভৃতবাসে, কারও দিদি-র কোমর্বিডিটি অত্যন্ত বেশি। তাই সাবধানতার কারণেই ফোঁটা নিতে যাওয়া সম্ভব নয় এ বছর। কিন্তু ভাইফোঁটা আবেগের জায়গা। এই দিনটার জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন কত ভাই-বোন। কিন্তু এবার করোনা আবহে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক নয়, এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতেও চাইছেন না অনেকে। তবুও ভাইফোঁটার জন্য ভেবেচিন্তে উপায় বের করেছেন কেউ কেউ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ভাইফোঁটা পালন করা নিয়ে চলছে ভাবনা।

Advertisement

জলপাইগুড়ির নিউটাউন পাড়ার দেবজিত সেনের দিদি থাকেন কলকাতায়। দেবজিত এ বছর ফোঁটা নিতে যাননি। তাঁর কথায়, “প্রায় দশ বছরের একটা রীতি এ বার বদলে গেল। প্রতিবার আগেভাগে ভাইফোঁটার ছুটিটা নিয়ে রাখতাম। এতটা পথ ট্রেনে যাতায়াতের ঝুঁকি নিলাম না। সংক্রমণ তো ট্রেন থেকে ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি।” তাহলে উপায়? পুলিশকর্মী দেবজিতের কথায়, “দিদিকে একটা ফোন করে নেব।”

ধূপগুড়ি থেকে প্রতি বছর সংযুক্তা মজুমদার জলপাইগুড়িতে আসতেন ভাইদের ফোঁটা দিতে। তাঁর তিন ভাই। এ বছর তিনি আসছেন না। তাঁর ছোট ভাই অমিত সরকার জানালেন, তাঁর দিদির রক্তে শর্করার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্টেও ভোগেন। অমিত বললেন, “দিদির প্রচুর কোমর্বিডিটি রয়েছে। সে কারণে আমরাই ওঁকে এ বছর আসতে বারণ করেছি। সকলে সুস্থ থাকলে আসছে বছর না হয় আবার হবে।।”

Advertisement

শহরের রায়কতপাড়ার বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার কর্মী বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। তাঁর করোনা ধরা পড়েছে। তবে তিনি উপসর্গহীন। এ বছর ভাইফোঁটো নেওয়া যাবে না। তিনি বলছেন, “অফিসের মিটিংগুলি অনলাইনে হচ্ছে। ভাইফোঁটাও অনলাইনে হবে। বোনকে বলব ভিডিয়ো কল করতে। মোবাইল স্ক্রিনে ও আঙুল ছুঁইয়ে দেবে। আমিও স্ক্রিনে হাত বুলিয়েই ওকে আদর করব।”

তবে ভাইফোঁটা নিতে বা দিতে যাচ্ছেন এমনও অনেকেও রয়েছেন। দুপুরে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ারও আয়োজন হয়েছে সেখানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement