COVID-19

করোনা বাড়ি-ই ‘অচ্ছুৎ’, মৃত্যু ঘিরে অভিযোগ

৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী এক ভ্রমণ সংস্থার কর্মকর্তা। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে শুক্রবারই মাটিগাড়া কোভিডে ভর্তি হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০৫:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি

মন্ত্রী থেকে জেলাশাসক, সকলেই যে দিন করোনা সংক্রমণ আটকাতে সচেতন হতে বলছেন, সে দিনই শিলিগুড়িতে মৃত্যু হল এক মহিলার। এবং সেই মৃত্যু ঘিরে অভিযোগ উঠল চিকিৎসা না-পাওয়ার।

Advertisement

৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী এক ভ্রমণ সংস্থার কর্মকর্তা। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে শুক্রবারই মাটিগাড়া কোভিডে ভর্তি হন। বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান, অশীতিপর মা ছিলেন। নীচের তলায় ভাই এবং তাঁর পরিবার থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী কিডনি, সুগার, রত্তচাপের রোগী। প্রস্রাবে সংক্রমণ ছিল। সে জন্য ইঞ্জেকশন স্বামী-ই দিয়ে দিতেন। তিনি হাসপাতালে যাওয়ার পরে বাড়ির সামনে বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, সে জন্য পিপিই কিটের দাম দিতে চাওয়া সত্ত্বেও ইঞ্জেকশন দিতে লোক মিলছিল না। মহিলার জ্বর ছিল দু’দিন ধরে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো সত্ত্বেও তারা পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে পরিবারের দাবি। সোমবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দুপুরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দ্রুত পরিবারের সদস্যদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার তাঁর স্বামী আক্রান্ত হওয়ার পরেও ওই পরিবারের সদস্যদের এখনও করোনা পরীক্ষা না হওয়ায় স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিন মহিলা মারা গেলে তাঁর লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়। বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত আরও এক জন। তাঁর পরীক্ষা দ্রুত করানো দরকার বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দফতর থেকে এই নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাওয়া হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক সেরে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

Advertisement

এদিন শিলিগুড়ি শহরে ২৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে ৪৬ এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন করে আক্রান্ত। ১৮ এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন করে। ৬, ১৭ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২ করে আক্রান্ত। দার্জিলিং জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৭৭ জন। এদিন মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতাল থেকে ২৪ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement