উপচে: ক্রেতাদের ভিড়। শিলিগুড়ির মহাবীরস্থান বাজারে। রবিবার। ছবি: বিনোদ দাস
দার্জিলিং জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো পাঁচ হাজার। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর মধ্যে এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি সংক্রমণ মিলেছে এই জেলাতেই। রবিবার নতুন করে ৬৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পরতেই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০০৯ জন। ১৯ অগস্ট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০০৭ জন। গত ৯ অগস্ট পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১১০ জন। ১ অগস্ট ছিল ২৩২২ জন। এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট কী হারে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। তবে ইতিমধ্যেই ৪১৬৬ জন সুস্থও হয়েছেন। সেটাই আশার আলো বলে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন।
স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনের দাবি, সংক্রমণের গতি একটু কমেছে। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটে পরীক্ষা হচ্ছে। তাতে আক্রান্ত বেড়েছে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ কিছুটা কম বলেই মনে হচ্ছে। সংক্রমণ প্রকৃতই কমছে কি না আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে।’’ কিন্তু পরিসংখ্যান অনুযায়ী সংক্রমণ কমেছে বলে মনে করছেন না চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশ। রোজই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যুও চলছে। শিলিগুড়ি পুর এলাকা এবং দার্জিলিং জেলা মিলিয়ে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে দেড়শো জনেরও বেশি। এ দিনই ভোররাতে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে মারা যান বানারহাটের বাসিন্দা ৪০ বছরের এক যুবক।
দার্জিলিং জেলায় সংক্রমণ এ দিন ৫ হাজার ছাড়িয়েছে, আর শিলিগুড়ি শহরে সংক্রমণ তিন হাজার ছুঁতে চলেছে। রবিবার পর্যন্ত শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯২০ জন। তার মধ্যে দার্জিলিং জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩টি ওয়ার্ডের সংক্রমণ যেমন রয়েছে তার সঙ্গে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা ১৪ টি সংযোজিত ওয়ার্ডে।
শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি এলাকায় প্রচুর আক্রান্ত মিলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিবির করে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ওই এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে। আক্রান্তদের এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোমকোয়রান্টিন করে আলাদা করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ির ব্লকের অধীনে থাকা বেঙডুবি সেনা হাসপাতাল তথা সেনা ছাউনিতে দু’শোর মতো ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন। শিলিগুড়ি পুরসভার শুধু ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডেই দু’শো জনের মতো আক্রান্ত। জিটিএ’র একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পাহাড়ে পাঁচশো জনের মতো সংক্রমিত। তার সিংহভাগই গত দু’মাসে।