—ফাইল চিত্র।
শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে এ বার গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক কমিউনিটি কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ার তোড়জোড় শুরু হল কোচবিহারে। শুক্রবার এ নিয়ে কোচবিহার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কোয়রান্টিন কেন্দ্রের পরিকাঠামো বাড়ানো ও করোনা মোকাবিলার নানা বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্রুত একটি করে কমিউনিটি কোয়রান্টিনের প্রসঙ্গ ওঠে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের একমাসের ভাতা মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, খুব দ্রুত ব্লকের সব গ্রাম পঞ্চায়েতেই কমিউনিটি কোয়রান্টিন কেন্দ্রের কাজ সম্পূর্ণ হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের ব্যবস্থাও হবে। পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাইরে থেকে ফেরার পরে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের এলাকায় থাকতে পারবেন। গোটা জেলার ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই পর্যায়ক্রমে একটি করে নতুন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে ৬৮টি কোয়রিন্টন কেন্দ্র চালু করা হয়। শ্রমিকেরা ফিরতে শুরু করায় পরিকাঠামো বাড়ানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই কোচবিহার ১ ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কমিউনিটি কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ার তোড়জোড় চলছে। খোলামেলা স্কুল ভবনে কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের তদারকির জন্য পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, জেলা পরিষদ সদস্য, ব্লক বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তত একজন চিকিৎসক, আশাকর্মী, প্রশাসন ও পুলিশ থাকবে।
কোচবিহারের সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “কোচবিহারের দু'টি ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কমিউনিটি কোয়রান্টিন কেন্দ্র হবে।”