Coronavirus

গ্রামের রাস্তায় ব্যারিকেড

ইংরেজবাজার ব্লকের কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগবাড়ি গ্রাম। মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের ধারে রয়েছে গ্রামটি।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২০ ০৭:০৯
Share:

নিষেধ: ইংরেজবাজারের বাগবাড়িতে আটকানো রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

‘প্রবেশ নিষেধ, দরকার হলে ফোন করুন’— এমনই পোস্টার লিখে গ্রামের রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দিলেন গ্রামবাসীরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন মালদহের ইংরেজবাজারের বাগবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। আর এমনই কৌশলে গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের সচেতনতায় খুশি প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

ইংরেজবাজার ব্লকের কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগবাড়ি গ্রাম। মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের ধারে রয়েছে গ্রামটি। গ্রামের এক প্রান্ত দিয়ে গিয়েছে নদী বাঁধ। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনকে হাতিয়ার করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মাইকিং করে সামাজিক দূরত্ব পালনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তা হলেও গ্রামের অনেকেই সেই বার্তা মানছেন না বলে দাবি স্থানীয়দের।

আনাজ থেকে শুরু করে মাছ। এমনকি, কাপড়ের ফেরিওয়ালাও ঢুকছেন গ্রামে। তাঁদের দেখেই ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামের মানুষেরা। একসঙ্গে জটলা করে দাঁড়িয়ে কেনাবেচা করছেন। আর তাতে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। এই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ ভিন্ রাজ্যে রয়েছেন। কেউ রাজস্থান, কেরলের মতো রাজ্যে কাজ করেন। দেশ জুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি শুরু হতেই গ্রামের ফিরতে শুরু করেছেন ভিন্ রাজ্যে থাকা শ্রমিকেরা। তাঁদের নিয়েই উদ্বেগে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, গ্রামের কারও করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায়নি। তাই ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের নিয়েই চিন্তা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় রাউত বলেন, “গ্রামের সাত-আট জন যুবক ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন। আমরা সকলেই জোর করে তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে।”

Advertisement

হোম কোয়রান্টিনে থাকার ভয়ে অনেকে রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকছেন বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। তাই তাঁদের প্রবেশ রুখতে গ্রামের সমস্ত রাস্তায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিতে উদ্যোগী হয়েছেন বাসিন্দারা। গ্রামে ঢোকার চারটি রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা— ‘প্রবেশ নিষেধ, দরকার হলে ফোন করুন’। তাতে কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গীতা সিংহ, নিখিল সরকারেরা। তাঁরা বলেন, “গ্রামে যেমন কেউ আসতে পারছেন না, তেমনই গ্রামের ছেলেরাও মোটর বাইক নিয়ে বের হতে পারছেন না। করোনা মোকাবিলা করতে সামাজিক দূরত্ব আমাদের মেনে অবশ্যই চলতে হবে।”

গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য গোপাল মণ্ডল বলেন, “গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে গ্রামে প্রবেশের একাধিক রাস্তা আটকে দিয়েছেন। মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। আশা করছি অন্য গ্রামের মানুষেরাও প্রশাসনের নিয়ম মেনে চলবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন