Coronavirus

মোমবাতি গলে গেলেও চলল রাজনৈতিক তরজা

শুরু হল দেদার বাজি পোড়ানো। টানা শোনা গিয়েছে শব্দবাজির আওয়াজ।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশ। সেই নিয়ে সংহতির বার্তা দিতে রবিবার রাত ন’টা থেকে নয় মিনিটের জন্য ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি বা টর্চ জ্বালাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে জলপাইগুড়ি শহরে কেউ কেউ নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই বাড়ির আলো নিভিয়ে দিয়েছিলেন। ৯টা বাজার পরে শুরু হল উলুধ্বনি, বেজে উঠল শঙ্খ, বাসন।

Advertisement

জলপাইগুড়ি শহরের চার নম্বর গুমটি দিয়ে রেললাইন শহরের মধ্যে ঢুকেছে। লাইনের দু’পারে বসতি রয়েছে। সেখানে শুরু হল দেদার বাজি পোড়ানো। টানা শোনা গিয়েছে শব্দবাজির আওয়াজ। আর সবটাই হল সামাজিক দূরত্ব মানার বিধিকে উড়িয়ে দিয়ে। লকডাউনের সময়ে এত বাজি কোথা থেকে এল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তিন নম্বর গুমটি লাগোয়া এলাকায় কিছুক্ষণ বাজি পোড়ানোর পরে হয়েছে ডিজেবক্স বাজিয়ে নাচও।

শব্দবাজি ফাটানো নিয়মবিরুদ্ধ। করোনাসংক্রমণের আবহে সামাজিক দূরত্বের বিধি ভাঙাও নিয়মবিরুদ্ধ। রবিবার রাতে সেসব নাগাড়ে হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী জানান, বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

বসতি এলাকা হোক বা জলপাইগুড়ি শহরের অভিজাত কদমতলা, সব জায়গায় দেখা গিয়েছে একই ছবি। বাবুপাড়ার রাস্তা জুড়েই মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। জয়ন্তীপাড়ায় বাজি পুড়েছে। স্টেশন রোড, ক্লাব রোডের মতো এলাকা দীপাবলির চেহারা নিয়েছিল রবিবার রাতে। উঁচু উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদ থেকে উড়ে গিয়েছে একের পর এক ফানুস। এ দিন রাত দশটার পরেও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাজির শব্দ পাওয়া গিয়েছে।

সমাজপাড়ার পিছন দিকে বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর। তাঁর বাড়ির আশেপাশের সব বাড়িতে আলো জ্বলেছে। সাড়ে ন’টার আগেই বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ যে ভাবে রাস্তায় নেমেছে, তাতে মনে হল দেশবাসী বুঝেছেন ভয়ঙ্কর অতিমারির হাত থেকে বাঁচাতে মোদী দেশকে যোগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর পাল্টা দাবি, “বিজেপি এতদিন টাকার লোভ দেখিয়ে ভোট কিনত, এখন রোগ নিয়ে ভয় দেখিয়ে অবৈজ্ঞানিক কথা প্রচার করে ফায়দা লুটতে চাইছে।’’ এ দিন বাজি পুড়েছে ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়িতেও। মোমবাতি জ্বালিয়ে কোভিড ১৯ লেখাও দেখা গিয়েছে ধূপগুড়িতে। মোমবাতি জ্বলেছে চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায়। বড়দিঘি, সোনগাছি, লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানেও বহু বাড়িতে মোমবাতি জ্বলেছে। এই বাগানেই বাড়ি বিজেপি সাংসদ জন বার্লার।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন