Coronavirus

নজর রাখতে পথেই সিপি

বিধান মার্কেটের একাংশ, গেটবাজার, টিকিয়াপাড়া, হায়দরপাড়া, চম্পাসরি, গুরুংবস্তি, শালুগাড়া এবং মহাবীরস্থানের মতো বহু বাজার নিয়ে অভিযোগ ছিলই। কিন্তু কয়েকটি রুটিন গ্রেফতার ছাড়া সমস্যাগুলিতে সার্বিকভাবে নজর দেওয়ার চেষ্টা পুলিশ করেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৪৩
Share:

পরিদর্শন: শহরের বাজার ও লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অথর্ব। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

শহরে লকডাউন ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে মুখ্যমন্ত্রী ভিডিয়ো কনফারেন্সে ধমক দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনারকে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছবিটা বদলে গেল শিলিগুড়ির। শনিবার লকডাউনে প্রথমবার রাস্তায় নামলেন খোদ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অথর্ব। এ দিন প্রথমেই টিকিয়াপাড়া বাজারে যান সিপি। রোজের ওই বাজারে না ছিল সামাজিক দূরত্ব, না কমছিল ভিড়। নিত্য পণ্য নয়, এমন সামগ্রী বিক্রি হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি নিয়ে সরব হওয়ার পর থেকেই লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে গ্রেফতারের সংখ্যা। শুক্রবার ১১৮ জন গ্রেফতার হন। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুলিশের ৬টি থানা এলাকায় গ্রেফতারের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এত দিন মূল রাস্তাগুলিতেই নজর রাখছিল পুলিশ। সিপি-র নির্দেশ, পাড়ার গলিগুলিতেও বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।

Advertisement

বিধান মার্কেটের একাংশ, গেটবাজার, টিকিয়াপাড়া, হায়দরপাড়া, চম্পাসরি, গুরুংবস্তি, শালুগাড়া এবং মহাবীরস্থানের মতো বহু বাজার নিয়ে অভিযোগ ছিলই। কিন্তু কয়েকটি রুটিন গ্রেফতার ছাড়া সমস্যাগুলিতে সার্বিকভাবে নজর দেওয়ার চেষ্টা পুলিশ করেনি বলে অভিযোগ। এই ভিড় এবং তা সামলাতে পুলিশের ঢিলেমি নিয়ে আনন্দবাজারে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিষয়টি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ উঠেছিল, পাড়ার মোড়, ক্লাবের সামনে, বন্ধ দোকান, খোলা মাঠে চলছে আড্ডা, তাসের ঠেক এমনকি দলবেঁধে ফুটবল, ক্রিকেটও। নবান্নে সঠিক সময় খবর পৌঁছনো হয়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন সিপি বলেন, ‘‘শহর জুড়ে কড়া বন্দোবস্ত চলবে৷ নির্দেশ অমান্য করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার এবং বুধবার টিকিয়াপাড়া বাজারে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। ওই দু'দিন ওই আনাজ বাজার বন্ধ রাখবে পুলিশ। বাজারের পাশে একটি ফাঁকা মাঠ রয়েছে, সেখানে কিছু আনাজ ব্যবসায়ীকে সরানো যায় কি না, দেখা হচ্ছে।’’ বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে এবং মাস্ক ছাড়া কোনও ব্যবসায়ীকে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শনিবার টিকিয়াপাড়া বাজার আগাম বন্ধ করার কথা ঘোষণা হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের অনেকের। বৃহত্তর শিলিগুড়ি খুচরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরি বলেন, ‘‘মানুষ রোজ বাজারে আসছে। আমরাই প্রস্তাব দিই, সপ্তাহে বাজার বসার দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। কিন্তু তা প্রচার ছাড়া করলে সোমবার টিকিয়াপাড়ার ভিড় আরও বাড়তে পারে।’’

থানা এলাকাগুলিতেও লাফিয়ে বেড়েছে গ্রেফতারের সংখ্যা। যেখানে এর আগে রোজ গড়ে ৩০-৪০-এর মধ্যে গ্রেফতার করা হচ্ছিল, তা শনিবার ২০০ ছাড়িয়ে যায়। প্রচুর গাড়ি ও বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement