Coronavirus

ভিড় কমাতে কড়া পুলিশ, গ্রেফতার ৬৭

পুলিশকর্তারা জানান, দিনে চায়ের দোকান খোলার জন্য, অযথা বাজারে ঘোরাফেরা করার ঘটনায় গ্রেফতার হচ্ছেন অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৪
Share:

পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।

কোন থানায় কত ধৃত

Advertisement

• ভক্তিনগর: ৩

• শিলিগুড়ি: ৬

Advertisement

• প্রধাননগর: ৫

• বাগডোগরা: ১১

• মাটিগাড়া: ৩

• এনজেপি: ৬
*শনিবার দুপুর পর্যন্ত

লকডাউন চলার সময় জরুরি প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে না বেরনোর জন্য আবেদন করা হয়েছে বাসিন্দাদের। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচারও করা হচ্ছে। তবুও সেই নির্দেশ না মেনে বাসিন্দাদের একটি অংশ রাস্তায় বেরোচ্ছিলেন। গত কয়েকদিনে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরেই শিলিগুড়িতে গ্রেফতার শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছিল। শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪।

পুলিশকর্তারা জানান, দিনে চায়ের দোকান খোলার জন্য, অযথা বাজারে ঘোরাফেরা করার ঘটনায় গ্রেফতার হচ্ছেন অনেকেই। রাতের দিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাইক নিয়ে বেরনো যুবকদের ধরা হয়েছে। শহরের এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘ট্রাফিক গার্ডগুলিতেও চলছে কড়া নজরদারি। রাস্তায় বেরোলেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কী কাজে বেরিয়েছেন।’’ গ্রেফতার হওয়া ৩৪ জনের অনেকেই প্রধাননগর, ভক্তিনগর এবং পানিট্যাঙ্কি ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েছেন।

শহরের এক পুলিশ কর্তা জানান, জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষকে পুলিশ কিছু বলবে না। কিন্তু বিনা কাজে বের হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপর থেকে সেরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। পুলিশ জানায়, লকডাউনের বিধি ভাঙলে ১৮৮ নম্বর ধারা অনুসারে সাজার মুখে পড়বেন মানুষ। তাছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের একটি ধারা প্রয়োগ করেও শহরের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করছে পুলিশ। শনিবার দুপুর পর্যন্ত গত ৭২ ঘণ্টায় শহরে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ জন।

আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে, সাত বছরের সাজার বিধান রয়েছে এরকম অপরাধে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে লকডাউনের সময় জামিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলি বলেন, ‘‘রাজ্য বার কাউন্সিলের নির্দেশমত, আইনজীবীরা এখন সাধারণ জামিনের জন্য কোনও সওয়াল করছেন না। তাই বিচারক অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু লকডাউন উঠে গেলে তাঁদের সিকিউরিটি বন্ড জমা করতে হবে।’’ আইনজীবীরা জানান, লকডাউন বিধি ভাঙা ছাড়াও অন্য অপরাধেও যেসব অভিযুক্তরা আদালতে পেশ হচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে জামিন হচ্ছে।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন