প্রতীকী ছবি
লকডাউনের পর থেকেই বহুতলের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় আটকে থাকা মালদহের জনাপঞ্চাশেক শ্রমিক কাজ হারিয়ে কার্যত কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েন। সাহায্যের আশায় তাঁরা ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফোনে তাঁদের দুর্দশার কথা জানিয়েছিলেন মালদহ জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে বিধায়ক, সাংসদদেরও। ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা এ রাজ্যের শ্রমিকদের অন্তত খাবারের ব্যবস্থা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। অভিযোগ, তার পরে সাত দিন কেটে গেলেও মুম্বইয়ে আটকে থাকা মালদহের ওই শ্রমিকেরা কোনও সরকারি সাহায্য পাননি। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দার দেওয়া চিড়ে, বিস্কুট-চা খেয়ে দিন কাটছে সকলের। তাঁদের একটাই আবেদন, বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।
মালদহের মোথাবাড়ি বাগিচাপুরের বাসিন্দা সাফফর শেখ বা চাঁদপুরের সাদ্দাম হোসেন, রবিউল শেখ, মুসা কলিমউদ্দিন, রেজাউল শেখরা জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে পর্যন্ত গত মাসে যে কয়েক দিন তাঁরা কাজ করেছিলেন, তার মজুরি এখনও দেয়নি সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তাঁদের হাতে যা টাকা ছিল তা দিয়ে এত দিন কোনও রকম দু’বেলা ডাল-ভাত খেয়েছেন। কিন্তু দু’দিন ধরে তাঁদের ঘরে খাবার নেই। এক শ্রমিক বলেন, ‘‘টেলিভিশনে দেখেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সহযোগিতা করতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই সরকারের তরফে আদের কাছে কেউ আসেনি, কোনও খাবারের ব্যবস্থাও হয়নি।" রবিউল, সাদ্দাম, রেজাউল বলেন, "আমাদের দুর্দশা দেখে স্থানীয় কয়েক জন চিড়ে ও বিস্কুট দিয়ে গিয়েছেন। আমরা দুপুরে চিড়ে ও রাতে চা-বিস্কুট খেয়ে বেঁচে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমাদেমার যেন এখান থেকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। না হলে হয়তো না খেয়ে মরতে হবে।"
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, "ওই শ্রমিকদের ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসন মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু কেন তাঁদের সরকারি ভাবে খাবারের সংস্থান করা হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।"