TMC

Siliguri: এক রাস্তার টেন্ডারে তৈরি অন্য রাস্তা! বিতর্ক উঠতেই প্রশাসনের দাবি, সবই মানুষের জন্য

অভিযোগ নিয়ে শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, অডিট হলে একটি এলাকাতেই এমন অনেক দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে চলে আসবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফুলবাড়ি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ১৭:৪১
Share:

ভাঙা রাস্তা পড়ে রইল দুরবস্থায়, কাজ হল অন্য রাস্তার। নিজস্ব চিত্র।

এক রাস্তার টেন্ডারে তৈরি হল অন্য রাস্তা। শুধু রাস্তা নয়, সঙ্গে নালাও। রাস্তার পাশে গোটা গোটা অক্ষরে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, সেই নাম। কিন্তু পাকা সড়ক তৈরি হলেও ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন বাসিন্দারা। সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে সরব শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচকোলগুড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের এও অভিযোগ, ‘‘রাস্তা তৈরি হতে না হতেই ঠিকাদারের পারিশ্রমিকও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পর সরকারি কাজের বিবরণের হোর্ডিং নির্দিষ্ট জায়গায় না লাগিয়ে, দেওয়া হয়েছে অন্যত্র।’’

Advertisement

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, জনৈক দিবাকর বণিকের বাড়ি থেকে অরুণ মাঝির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ও নালা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয় ১০৬৫৫১২.৮২২ টাকা। আগেই ওই রাস্তার তৈরির কথা ছিল। কিন্তু কাজ আর এগোয়নি। শুধু নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে। এ দিকে, নির্দিষ্ট কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। অন্তত রাস্তায় লাগানো হোর্ডিং দাবি করছে সেই কথা। আর অনুমোদিত রাস্তা না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ মাঝির কথায়, ‘‘যে রাস্তার বিবরণ হোর্ডিংয়ে দেওয়া রয়েছে, সেই রাস্তার বাসিন্দা আমি নিজেই। কিন্তু বছরখানেক আগে শুধুমাত্র ড্রেন তৈরি হয়েছিল। আর এখন যে রাস্তার কথা উল্লেখ রয়েছে হোর্ডিংয়ে, সেটি তৈরি হয়েছে অন্যত্র। এ নিয়ে জিজ্ঞেস করলেই প্রশাসনের লোকেরা বলছেন, ‘রাস্তা হবে।’ কিন্তু কবে?’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বর্ষাকালে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। নালা কেটে সেই জল পরিষ্কার করি। যা হয়েছে খারাপ।’’ আর এক বাসিন্দা রিনা মণ্ডল বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যবহার ভাল না। উনি এলাকাবাসীর কোনও কথাই শোনেন না। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে।’’

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সবিতা দাশগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই রাস্তা তৈরি করে আমি গরিব মানুষগুলোকে বাঁচাচ্ছি।’’ তবে রাস্তা তৈরির প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘‘আপনি প্রধানকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন। বোর্ডে তো অনেক কিছুই লেখা থাকে। কোথায় আমি তো দেখি না!’’ পরে পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা করাতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর সাফাই, ‘‘যে রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল, সেই রাস্তার কাজ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির হাতে রয়েছে। তারা সেই রাস্তার কাজ করছে। তাই, আমরা অন্য একটি রাস্তা তৈরি করে দিলাম। এতে ভুলের কিছু নেই। মানুষের সুযোগ সুবিধার জন্যই তৈরি করেছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন