দুর্ঘটনায় মৃত দম্পতি, রাস্তা আটকে ক্ষোভ

ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক দম্পতির। রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে ইংরেজবাজার থানার সুস্থানি মোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম আবদুল খালেক (৫০) ও সঞ্জিমানারা বেগম (৪২)। তাঁদের বাড়ি বৈষ্ণবনগরের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরাদিটোলা গ্রামে। তাঁরা একটি মোটরবাইকে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১২
Share:

সুস্থানি মোড়ে পুলিশকে ঘিরে জমায়েত স্থানীয় বাসিন্দাদের।নিজস্ব চিত্র

ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক দম্পতির। রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে ইংরেজবাজার থানার সুস্থানি মোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম আবদুল খালেক (৫০) ও সঞ্জিমানারা বেগম (৪২)। তাঁদের বাড়ি বৈষ্ণবনগরের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরাদিটোলা গ্রামে। তাঁরা একটি মোটরবাইকে ছিলেন।

Advertisement

ঘটনার পর সুস্থানি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের দাবিতে এ দিন মৃতদেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কও আটক করে তাঁরা। ফলে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ অবশ্য বাসিন্দাদের লাঠি চালিয়ে হঠিয়ে দেয় ও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পাশাপাশি জাতীয় সড়কও ফাঁকা করে দেয়। কিছু ক্ষণ পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রাকটি পুলিশ আটক করেছে। চালক পলাতক। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবদুল খালেক তাঁর স্ত্রীকে বাইকে চাপিয়ে এ দিনই সকালে পুরাতন মালদহের রায়পুরে শ্বশুরবাড়িতে যান। দুপুর দুটো নাগাদ বাইকেই তাঁরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। সুস্থানি মোড়ের কাছে একটি পণ্যবাহী ট্রাক পিছন দিক থেকে এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দারা সুস্থানি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গেলে মৃতদেহ আটকে রেখে ওই দাবিতে তাঁরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান। পরে পুলিশ লোকজনকে হঠিয়ে দেয় ও মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা সমীর শেখ, আসাদুল হকরা জানান, সুস্থানি মোড় ব্যস্ত এলাকা। এক দিকে রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও অপর দিকে মহদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্য রো়ড। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এ জন্যই এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন দরকার। ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু অবশ্য বলেন, ‘‘কোনও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেনি. মৃতদেহ তুলতে বাধা দিলে মানুষকে হঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাক চালক পলাতক. তাঁর খোঁজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন