রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পুরনো জরুরি বিভাগে টিকাদানের আগে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।
আজ, শনিবার থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার কথা। শুক্রবার জেলার ৬টি কেন্দ্রে পাঠানো হয় করোনা প্রতিষেধক। প্রথম দফায় জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সাড়ে সাত হাজার জনকে প্রথম ডোজ়ের করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হবে। ২৮ দিনের মধ্যে তাঁদের ওই প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে।
এ দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল ছাড়াও হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল, ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতাল, ইসলামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতাল ও চাকুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ১০০ জন করে মোট ৬০০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ পুরসভার তরফে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পুরনো জরুরি বিভাগের একাধিক ঘর জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। বাকি হাসপাতালগুলিতে কোথাও জেলা স্বাস্থ্য দফতর কোথাও আবার স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভার উদ্যোগে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) গৌতম মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রথম দফায় বেশ কয়েকটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সাড়ে সাত হাজার জনকে প্রথম ডোজের করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রথমদিন ১০০ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ছটি কেন্দ্রেই করোনা প্রতিষেধক পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রগুলিতে পরিকাঠামো গড়ে তোলাও হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাদান কক্ষ, প্রতীক্ষালয় এবং পর্যবেক্ষণ ঘর করাও হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, ড্রাইরান সুষ্ঠ ভাবেই হয়েছে। তাই টিকাদান পর্বও সুষ্ঠ ভাবে হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৫ হাজার ৪৫ জনকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে জেলায় ১৭ হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। তা থেকেই প্রথম দফায় সাড়ে সাত হাজার জনকে ২৮ দিনের মধ্যে দুই ডোজের প্রতিষেধক দেওয়া হবে।