বর্ষবরণের রাতে অন্তত এক কোটি টাকা টাকার মদ বিক্রি হয়েছে শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকায়। নর্থ বেঙ্গল ফরেন লিকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, তার মধ্যে সিংহভাগই বিলিতি মদের দোকান থেকে বিক্রি হয়েছে। বাকিটা পানশালা থেকে। গত বছর বর্ষবরণে ৮০ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল বলে ওই সংগঠনের দাবি।
তবে নর্থ বেঙ্গল মিউজিক্যাল বার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, টাকার অঙ্কে গত বছরের চেয়ে বিক্রি বেশি মনে হলেও পরিমাণ কমেছে। তাঁদের যুক্তি, গত বছরের তুলনায় বিলিতি মদের দাম অনেকটাই বেড়েছে বলে টাকার অঙ্কটা বড় দেখাতে পারে।
আবগারি দফতরের শিলিগুড়ির ওসি বিজয় টিগ্গা বলেন, ‘‘উৎসবের সময়ে বাড়তি বিক্রি হওয়ারই কথা। বিক্রেতারা একটা আনুমানিক হিসেব দিয়েছেন। তা ঠিকই হতে পারে। তবে আমরা টাকা নয়, পরিমাণে হিসেব রাখি। সেটা সংগ্রহে সময় লাগবে।’’
নর্থ বেঙ্গল ফরেন লিকার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কর্মবীর সিং জানান, শিলিগুড়ি ও লাগোয়া জলপাইগুড়ি এলাকায় মিলিয়ে ৪০টির বেশি দোকান রয়েছে। বর্ষবরণের রাতে একেকটি দোকানে গড়ে দেড় লক্ষ টাকার বিলিতি মদ বিক্রি হয়েছে বলে তাঁদের আনুমানিক হিসেব। চালু পানশালার সংখ্যাও ৪০টি। গান গাওয়া হয় এমন পানশালার সংখ্যা ৮টি। সেখানেও বর্ষবরণের রাতে গড়ে লক্ষ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে বলে তাদের সংগঠনের হিসেব।
নর্থ বেঙ্গল মিউজিক্যাল বার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় শর্মা বলেন, ‘‘টাকার অঙ্কের এ বার বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু, মদের পরিমাণ কিছুটা কমেছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ, মদের দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।’’ তিনি জানান, রাত ৯টা অবধি তেমন ভিড় ছিল না। ১০টা থেকে ১২টা বেশ ভিড় হওয়ায় বিক্রি বেড়েছে।
পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, বর্ষবরণে শহর ও লাগোয়া এলাকায় অন্তত ১০টি বিশেষ অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানেও দেদার মদ বিক্রি হয়েছে। তবে বেশির ভাগ অনুষ্ঠানেই পানভোজনের টাকা আগাম নেওয়া হয়েছে। সেই হিসেব জুড়লে মদ বিক্রির পরিমাণ ১ কোটি টাকা পেরিয়েও যেতে পারে বলে বিলিতি মদ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের অনেকেরই ধারনা। তবে আবগারি দফতরের শিলিগুড়ির ডেপুটি সুপার অনির্বাণ সান্যাল জানান, বিশদ তথ্য-পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখার পরে স্পষ্ট হিসেব দেওয়া সম্ভব হবে। তবে দফতরের কয়েকজন অফিসার জানান, এখন তো মদ বিক্রেতারা কেনার সময়েই আগাম রাজস্ব জমা দেন। তাই এক রাতে বিক্রির ওঠানামার উপরে সঙ্গে রাজস্ব বৃদ্ধির যোগসূত্র নেই।