বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তাদের মতো মণ্ডপ সজ্জা কিংবা প্রতিমার চমক নেই। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা বিধি মেনে যাবতীয় আয়োজন। কোচবিহার রামকৃষ্ণ মঠে ফি বছর বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে।
এ বারেও উৎসাহীদের অনেকে প্রস্তুতির খোঁজ নিতে সেখানে যাচ্ছেন, পুজোর সময়সূচির প্রচারপত্র নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে স্বাভাবিকভাবে পুজোর দিনগুলিতে সেখানে এবারেও উপচে পড়া ভিড়ের অপেক্ষা। কোচবিহার রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণব্রক্ষ্মানন্দ মহারাজ বলেন, “আন্তরিকতা, নিয়মনিষ্ঠা আর বিধি মেনে পুরোভক্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে পুজোই মূল বিষয়। ওই টানেই মানুষ আসেন।”
মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর উপকরণের মধ্যে রয়েছে গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, কাবেরী, ব্রহ্মপুত্রের জল থেকে সাত সমুদ্রের জল, বৃষ্টির জল, শিশিরের জল। চাই গজদন্ত, অশ্বদন্ত, রাজ দরবার সহ নানা রকমের মাটিও। এছাড়া সন্ধি পুজোয় পদ্ম, জবা, অপরাজিতা, রজনীগন্ধা, গাঁদা ফুল থেকে বেলপাতার তৈরি মালাও দেবীকে পরানো হয়। পুজোর উপকরণ জোগাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অন্যতম স্বামী শিবেশানন্দ মহারাজ বলেন, “সারা বছর ধরে চেষ্টা করে পুজোর সমস্ত উপকরণ জোগাড় করা হয়।” পুজোয় নিয়ম মেনে শশা, কলা, চালকুমরো বলির রেওয়াজ মানা হয়। এছাড়াও মহাষ্টমীর দিন কুমারী পুজো ঘিরেও বাসিন্দাদের মধ্যে ফি বছর বাড়তি আগ্রহ দেখা যায়। এবারেও রীতি মেনে কুমারী পুজো হবে। ওই দিন রাত্রে দেবীর সন্ধিপুজো নিয়েও ভক্তদের উৎসাহ রয়েছে।
কয়েকজন কলেজ পড়ুয়ার কথায়, পুজোর দিনগুলিতে মঠের দেবী দর্শন করা তাদের রুটিন। পুজোয় ভক্তদের প্রসাদ বিলিও করা হয়। স্বামী গিরিশাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, “নিয়মনিষ্ঠার পুজোয় অষ্টমী দশ হাজারের বেশি ভক্তদের প্রসাদ বিলি করা হয়।” এবার ওই মঠের প্রতিমা গড়েছেন তুফানগঞ্জের শিল্পী।