সংস্কৃতি যেখানে যেমন...

বালুরঘাট শাখার ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, আদিবাসী লোকশিল্পী দল এবং গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের উদ্যোগে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দু’দিনের এই স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রথম দিন (২০ ফেব্রুয়ারি) ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব ময়দানে আয়োজন করা হয় আলোকচিত্র ও হাতে আঁকা ছবির প্রদর্শনী।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৬ ০২:১২
Share:

একুশে কাঁধে কাঁধ বালুরঘাটে

Advertisement

বালুরঘাট শাখার ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, আদিবাসী লোকশিল্পী দল এবং গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের উদ্যোগে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দু’দিনের এই স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রথম দিন (২০ ফেব্রুয়ারি) ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব ময়দানে আয়োজন করা হয় আলোকচিত্র ও হাতে আঁকা ছবির প্রদর্শনী। বিষয়— বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন ইত্যাদি। প্রদর্শিত হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর নির্মিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘লাল শালু’। একুশে ফেব্রুয়ারি মন্মথ রায় মঞ্চে সান্ধ্য অনুষ্ঠানে একুশের গান পরিবেশন করেন শ্যামা সেন, দীপ্তি বসাক, গীতা সমাজপতি। অধ্যাপক নির্মলেন্দু তালুকদারের কাছ থেকে জানা যায় একুশের প্রেক্ষাপট। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সুধীর সরকার, রঞ্জু গোস্বামী, দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের স্মরণে আবৃত্তি শেনালেন রমা ঘোষ, সৌরেন সমাজদার, শুভ্র ঘোষ, কেয়া দাস প্রমুখ। অন্য দিকে, বালুরঘাটের উজ্জীবন সোসাইটির পক্ষ খথেকে একুশের শহিদ স্মরণ করা হয় হিলি সীমান্তে। অনুষ্ঠানটির সহ-আয়োজক ও পার বাংলার ‘আলোকিত সীমান্ত’ এবং ‘আমরা মুক্তি যোদ্ধার শহিদ কমান্ডো’ সংস্থা দু’টি। উজ্জীবনের পক্ষ থেকে সুরজ দাস জানান, ভাষা কখনও রাষ্ট্র ভাগ করতে পারে না। ভাষাই পারে বিভেদ রেখা মুছে দিতে। এ পার বাংলার স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনান বিশ্বনাথ সাহা, মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া, হারান মজুমদার, বীরেন মাহাতো প্রমুখ। ছিল নূপুর নৃত্য সংস্থা এবং সুচেতনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৃত্যানুষ্ঠান। বিএসএফ এবং বিজিবি-র উপস্থিতিতে দুই দেশের উদ্যোক্তারা ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক বিনিময় করেন। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি, বালুরঘাট শাখার উদ্যোগে বের হয় একুশের পদযাত্রা। পা মেলান শিক্ষাকর্মী থেকে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজন। জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতর, বালুরঘাট আয়োজিত মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় আরণ্যক উদ্যানে। ‘পতিরাম সংস্কৃতি মঞ্চ’-র উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উদ্যানের বোটিং পরিষেবা ও স্থায়ী মুক্তমঞ্চ এ দিন চালু হয়। ‘রেজুভি-কোয়েস্ট’ নামাঙ্কিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন শুভ্রজিৎ গুপ্ত (বিডিও, বালুরঘাট) এবং শম্ভুদীপ সরকার (বিডিও হিলি)।

লেখা ও ছবি: অনিতা দত্ত

Advertisement

সাহিত্য আড্ডা

লেখা: সুদীপ দত্ত

শুধু সাহিত্যে সারা দিন যাপন করলেন রায়গঞ্জের কবি, লেখক, ও প্রবন্ধকাররা। ‘চয়ন’, ‘চৈতন্য’ এবং ‘উত্তরবঙ্গের প্রগতি’ পত্রিকার উদ্যোগে সুহাসিনী উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শোনা গেল সাহিত্যের সাত-সতেরো। প্রাবন্ধিক দিলীপ ঘোষরায় জানালেন, ফরাসি বিপ্লবের তাৎপর্য। কমলেশ গোস্বামী, শর্মিষ্ঠা ঘোষ, সুনন্দা গোস্বামী এবং ব্রততী ঘোষরায়ের স্বরচিত কবিতা পাঠে উঠে এল ও পার বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা আর এ পারের উদ্বাস্তু সমস্যা। সঙ্গে, এই সময়ের প্রেম-প্রেমহীনতা এবং আশা-আশা ভাঙার টুকরো ছবি। ধরা পড়ল রবীন্দ্রনাথকে হারানোর আকুলতাও। পাপিয়া চক্রবর্তী এবং দেবিনা চন্দের সঙ্গীতের পাশাপাশি গল্প-কবিতা শোনালেন অরুণ চক্রবর্তী, দেবেশকান্তি চক্রবর্তী, তপন রায়, সুনীল চন্দ, সৌরেন চৌধুরী, অনির্বাণ ঘোষ প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন