ফুলহারে ভাঙনের কবলে বাঁধ, মন্দির

মালদহের গঙ্গা, ফুলহার এবং মহানন্দা তিন নদীরই জলস্তর রয়েছে বিপদসীমার অনেক নীচে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানিকচক শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:২৯
Share:

শূন্যস্থান: এখানেই ছিল মন্দিরটি। মানিকচকে। নিজস্ব চিত্র

ফুলহারের জলস্তর নামতেই মালদহে শুরু হল ভাঙন। শুক্রবার বিকেলে তলিয়ে যায় মানিকচকের শঙ্করটোলা বাঁধের একাংশ। নদীগর্ভে চলে যায় গ্রামের একটি শিব মন্দির। ফলে কালীপুজোতেও ভাঙন আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন মানিকচকের নদী বাঁধ সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও তৎপরতার সঙ্গে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

মালদহের গঙ্গা, ফুলহার এবং মহানন্দা তিন নদীরই জলস্তর রয়েছে বিপদসীমার অনেক নীচে। এ দিন গঙ্গার জলস্তর রয়েছে ২২.৬৬ মিটার। ফুলহার এবং মহানন্দা জলস্তর ২৪.৬৪, ১৭.২৫ মিটার রয়েছে। তিন নদীরই জল স্থির রয়েছে। কিন্তু জল স্থির থাকলেও ভাঙন শুরু হয়েছে মানিকচকে। সপ্তাহ দুয়েক আগে গঙ্গা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। কালিয়াচক-৩ ব্লকের নদী সংলগ্ন এলাকায় ভাঙনে ভিটে মাটি হারা হন শতাধিক পরিবার। এ বার শুরু হল ফুলহার নদীতে।

এ দিন বিকেল থেকেই মানিকচকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করটোলা ঘাটের নদী বাঁধে ভাঙন শুরু হয়। নদীগর্ভে তলিয়ে যায় বাঁধের ১০০ মিটার অংশ। ভেঙে ডুবে যায় একটি শিব মন্দির এবং গাছ। আর তাতেই ভয় বাড়ছে মথুরাপুর, মানিকচকের নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ দিন জেলা জুড়েই টানা বৃষ্টি চলছে। এরই মধ্যে ফুলহারে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাঁধের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভুতনি সেতু নিয়েও আতঙ্কে রয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। জানা গিয়েছে, এই শঙ্করটোলা ঘাটেই রয়েছে ভুতনি সেতু। ঘটনাস্থল থেকে দু’শো মিটার দূরেই সেতুটি। ফলে ভাঙন তীব্র হলে সেতুরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, আলোর উৎসবের মুখে ভাঙনের ফলে যেন অন্ধকার নেমে এসেছে গ্রামে। গ্রামবাসীর দাবি, ভাঙনে ভিটে হারিয়ে নদী বাঁধের ধারে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এখন বাঁধের ৫০ মিটার অংশ ভেঙে গেলে ফের ভিটে হারাতে হবে। এ দিন বিকেলেই ঘটনাস্থলে যান বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত এবং সেচ দফতরের কর্তারা। তবে সন্ধে হয়ে যাওয়ায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু করতে বেগ পেতে হয়। ভাঙন রুখতে রিং বাঁধ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে দ্রুততার সঙ্গে ভাঙন রোধের কাজ করা হবে। পরবর্তী কালে রিং বাঁধ দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন