বিষমদের মামলা ঝুলে

প্রায় এক যুগ পার হতে চললেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর অভিযোগের। মামলাটির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। অভিযুক্তরা জামিন পেয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

প্রায় এক যুগ পার হতে চললেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর অভিযোগের। মামলাটির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। অভিযুক্তরা জামিন পেয়েছেন। ওই মামলাটি বালুরঘাটের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে চলছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সুভাষ চাকি। ইতিমধ্যে ওই মামলার ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে অধিকাংশের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার, চিকিৎসক এবং আবগারি অফিসার কর্মীদের সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি রয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকার একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত পানশালায় বিদেশি মদ খেয়ে এক মহিলা-সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়। পানশালার মালিক দুই ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনার পরে পানশালা থেকে বাজেয়াপ্ত বিদেশি মদের নমুনায় মিথাইল অ্যালকোহল মেলে। ওই মদে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

তবে মদের নমুনা ও ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট ফরেন্সিক বিভাগ থেকে দেরিতে আসায় মামলাটির চার্জশিট আদালতে জমা দিতে প্রায় দু’বছর লেগে যায় বলে ডিআইবি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আইনজীবীরাই জানান, ওই ফরেন্সিক রিপোর্টে ভেজাল মদের বিষয়় স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। তা ছাড়া সাক্ষীরাও সাক্ষ্যতে আদালতের কাছে নির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি বলে সরকারি আইনজীবী সুভাষবাবুর দাবি। তখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তন্ময় দাস। আজও পুরো সুস্থ নন। চোখে কম দেখেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা হতাশ।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন