ডেঙ্গি রোগী বাড়ছে, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

জেলার উপমুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ২ দেবাশিস মণ্ডল ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মনের অবশ্য বক্তব্য, চার মাস ধরে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গি রোগী। নিজস্ব চিত্র

উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে ডেঙ্গি ও জ্বরের রোগী বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের ভূমিকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছরের হিসেবে সোমবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম মিলিয়ে ১০৩ জন রোগীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে। পাশাপাশি, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় সাড়ে ৬০০ বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ দিন পর্যন্ত রায়গঞ্জ মেডিক্যাল, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও নার্সিংহোম মিলিয়ে প্রায় ১২০ জন বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন জেলায় ডেঙ্গি রুখতে পদক্ষেপ করছে না। তার জেরে জেলাজুড়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

Advertisement

জেলার উপমুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ২ দেবাশিস মণ্ডল ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মনের অবশ্য বক্তব্য, চার মাস ধরে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছে। জেলাজুড়ে সাফাই অভিযান ও ডেঙ্গির লার্ভা মারতেও নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

এ দিনও রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নতুন করে দু’জন রোগীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। রায়গঞ্জের লক্ষ্মণীয়ার বাসিন্দা নারায়ণ বর্মন বলেন, ‘‘জ্বরে নিয়ে শুক্রবার ভর্তি হই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রবিবার রক্তপরীক্ষা করেন। সোমবার রিপোর্ট এসেছে। ডেঙ্গি হয়েছে বলে এ দিন চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।’’ রায়পুরের বাসিন্দা লিটন ভৌমিক শুক্রবার থেকে জ্বরে ভুগছেন। রবিবার ভর্তি হয়েছেন। লিটনের কথায়, ‘‘রিপোর্টে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন জ্বরের উপসর্গ নিয়ে সাত জন মহিলা সহ ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ২৭ জন জ্বরের উপসর্গে ভর্তি রয়েছেন। রবিবার মেডিক্যালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই রোগীর মৃত্যু হয় বলে মৃতদের পরিবারের লোক দাবি করেন।

দেবাশিসের অবশ্য দাবি, জেলায় ডেঙ্গি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখনও মৃত্যু ঘটেনি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ, বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামদের অভিযোগ, সাফাই অভিযান ও সচেতনতা শিবির করছে না। বলে রোগী বাড়ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন