চকোলেটের তৈরি প্রতিমা দেখতে এসেছে খুদেরা। —নিজস্ব চিত্র।
মাটির পরিবর্তে রকমারি স্বাদের চকোলেট। আট থেকে আশি সকলের প্রিয় এই চকোলেট দিয়েই দূর্গাপ্রতিমা গড়ে চমকে দিয়েছেন হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডীর সমর পাল।
প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে এখন। ইতিমধ্যেই চকোলেটের তৈরি প্রতিমা দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছে গ্রামের কচিকাঁচারা। প্রতিমা দেখতে এসে জিভে জল এসে যাচ্ছে তাদের। তবে সেই ভেজা জিভ নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাদের।
এমন ‘স্বাদু’ প্রতিমাটি শোভা পাবে ইংরেজবাজার শহরের গয়েশপুরের মালদহ ঐক্য সম্মেলনীর পুজো মণ্ডপে। গত বছর তাদের মণ্ডপেই লোক টেনেছিল আমসত্ত্বের দূর্গা। সেই দূর্গা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। তাই তাঁরা এ বারে বেছে নিয়েছেন চকোলেটের দূর্গা। শিল্পী সমরবাবু বলছেন, ‘‘আশা করছি আমসত্ত্বের মতো চকোলেটের দূর্গাও নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের।’’
বুলবুলচণ্ডীর ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা সমরবাবু প্রায় বছর দশেক প্রতিমা গড়ছেন। বাবা নারায়ণচন্দ্র পালের কাছ থেকে শিখেছেন কাজ। এ বার বাবা, ছেলে মিলে মোট ১২টি প্রতিমা তৈরি করেছেন। তবে চকোলেটের প্রতিমাই সবার আকর্ষণের কেন্দ্র। গত তিন মাস ধরে চকলেট দিয়ে গড়েছেন দেবীমূর্তি। প্রতিমা তৈরি করতে চকোলেট লেগেছে প্রায় আড়াই হাজার। রয়েছে ক্যাডবেরি, কিটক্যাট, মিল্কিবারের মতো চকোলেট। পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব দাস বলেন, ‘‘আমাদের এ বারের থিম সবার প্রিয় তাই সেরা’’।
চকোলেট ছাড়াও উপকরণ হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন খড়-কাগজ। প্রথমে বাঁশ ও খড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কাঠামো। তারপর সেই খড়ের উপরে কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কাগজের পর রকমারি চকোলেট দিয়েই সমস্ত কিছু তৈরি করা হয়েছে। একচালিতে রয়েছে দূর্গা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। দেবীমূর্তির অলঙ্কারও করা হয়েছে চকোলেট দিয়ে। মূর্তি তৈরি করতে কোনও রকম মাটি বা রঙের ব্যবহার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শিল্পী সমরবাবু। তাঁর আশা, এই অভিনব প্রতিমা সবার মন কাড়বে।